নিউস ডেস্ক, বর্ধমান : – পূর্ব ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কালিপাহাড়ি গ্রামে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায়, ভাতারের কালিপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষাসু দে এর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় কলকাতার গড়িয়াহাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ফিরোজা খানের। এরপর ধীরে ধীরে সেই পরিচয় প্রেমের আকার ধারণ করে। তারা সুস্থ মস্তিষ্কে কলকাতার কালীঘাটের মন্দিরে হিন্দুমতে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। দুজনেই ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকায়, ফিরোজা খান হিন্দু মতে ভাতারের কৃষাসু দে কে বিবাহ করে । এরপর ঘর ভাড়া নিয়ে তারা নিজেদের সংসার সাজায়।
ফিরোজা জানান, গত ৩১ শে ডিসেম্বর সে শ্বশুরবাড়িতে যায় তাঁর স্বামীর সাথে। সে দাবী করে ভিন্ন সম্প্রদায় হাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার স্বামীকে লুকিয়ে রেখেছে। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না । দীর্ঘ কয়েকদিন স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় অবশেষে ধর্নার পথ বেছে নিতে হয়েছে তাকে।তার দাবি ‘যতক্ষন পর্যন্ত আমার স্বামীকে আমার হাতে ফিরিয়ে না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আমার শ্বশুরবাড়ীর দরজার সামনে ধর্নায় থাকবো’।