“দুয়ারে সরকার” উপভোক্তা পৌঁছানোর আগেই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি
মলয় দে নদীয়া :-
দাদা বাড়ি আছেন? অপর প্রান্তে থেকে ভেসে আসা বৃদ্ধার কণ্ঠস্বর কে বাবা তুমি! দরজার বাইরে প্রতীক্ষমান শান্তিপুর কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড: প্রসেনজিৎ মন্ডল বিনয়ী কন্ঠে জানালেন, আঞ্জগে! আমি প্রসেনজিৎ রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পাঠিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখি প্রকল্প আপনার কাছে পৌঁছেছে কিনা তা জানতে! একহাতে দরজা খোলার পর, এঁটো অপর হাথ ধুয়ে আঁচলে মুছতে মুছতে বৃদ্ধা ডাক দিলেন তার ছেলেকে। মায়ে পোয়ে জানালেন তাদের পরিবারের এক সদস্য গুরুতর অসুস্থতার কথা। স্বাস্থ্য সাথীর ফরম বের করে , তার সাথে আগত শান্তিপুর শহরের যুব তৃণমূল কর্মীদের পূরণ করার নির্দেশ দিলেন। অবশেষে শান্তিপুর শহরের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রেমাংশু নন্দীকে দায়িত্ব দিলেন বৃদ্ধাকে নিয়ে গিয়ে জমা করিয়ে দেওয়ার জন্য।
এভাবেই, রূপসী, কন্যাশ্রী সবুজ সাথী, জয় জোহর, তপশিলি বন্ধু, কৃষক বন্ধুর মোটো নটি সরকারি প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী সবিস্তারে আলোচনা করে খানিকটা কাজ এগিয়ে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ড: প্রসেনজিৎ মন্ডল। যারা এখনো কোন ভাবে শোনেননি তাদেরকেও অবহিত করার দায়িত্বভার নিলেন তার সাথে আগত শান্তিপুরের যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। এভাবে নদীয়ার শান্তিপুর শহরের 12 নম্বর ওয়ার্ডে আজ সকাল 12 টা থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত কাটালেন জনসাধারণের মাঝে সরকারি প্রকল্পের অবহতির জন্য।