নদিয়ার শান্তিপুরে বঙ্গধ্বনী যাত্রাতে উঠে এলো দলেরই কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ

নদিয়ার শান্তিপুরে বঙ্গধ্বনী যাত্রাতে উঠে এলো দলেরই কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ

মলয় দে নদীয়া :- রাজ্যের প্রত্যেক বিধানসভার মতো নদীয়ার শান্তিপুরের আজ থেকে শুরু হলো বঙ্গধ্বনী যাত্রা। বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য, শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র, শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রেমাংশু নন্দী সহ প্রায় 70- 80 জন কর্মী তিলিপাড়ার জলেশ্বর মন্দিরে প্রণাম সেরে, সবেমাত্র শুরু করেছেন যাত্রা ! এমনই সময় রাস্তার দু’পাশ থেকে শতাধিক মানুষ কাউন্সিলর এবং পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়কের কাছে। আজ 17, 18 এবং 19 নাম্বার ওয়ার্ডে সকাল 10 টা থেকে 2 টা পর্যন্ত এবং এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া সেরে বিকাল 3 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত পাড়ার বিভিন্ন রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার পথ অবরুদ্ধ হয় অভিযোগের তীরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিকাশি ব্যবস্থা, অনিয়মিত জঞ্জাল সাফাই, পৌরকর্মী এবং কাউন্সিলরদের অসহযোগী আচরণ নিয়ে একাধিক ক্ষোভ তাৎক্ষণিকভাবে খানিকটা সামলালেন বিধায়ক। এলাকারই সাধারণমানুষ শহরের বুকে একাধিক পাড়ায় গৃহহীন প্রান্তিক মানুষদের বদলে , একই পরিবারের একাধিক, এবং দলীয় কর্মীদের অপ্রয়োজনীয় সরকারি গৃহ আবাসের স্বজনপোষণের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ঘুরে দেখান বিধায়ক কে। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানান “কিছুদিন আগে শান্তিপুর ডাকঘর মোড়ে রাস্তার উপরে বসে ছিলাম শুধু মাত্র, প্রকৃত গৃহহীনের সন্ধানে। সেখানে ছয় শতাধিক, এমন পরিবারের নাম লিপিবদ্ধ করে বিভাগীয় দপ্তরে পাঠিয়েছি, আশা রাখি অতি শীঘ্রই সুরাহা মিলবে তাদের।”
এলাকার মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের আবেগপ্রবণ হয়ে তৃণমূল সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন। তিনি বলেন এ বিষয়ে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাচ্ছি।”