সারাদিনের বেশিরভাগ সময় চলেছে বৃষ্টি! কখনো ঝিরি ঝিরি, কখনোবা মুষলধারে। অন্যান্য বছরের বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জল জমে তবে এক হাঁটু বা এক কোমর নয়। রাস্তায় জল কিছুক্ষণ বাদে নেমে যায়। কিন্তু এভাবে ঘরের মধ্যে জল 2000 সালের বন্যার পর আর কখনো হয়নি বলেই জানান এলাকাবাসী। নদীয়া শান্তিপুর শহরের 4 নম্বর ওয়ার্ডের শিব দুর্গা কলোনি র কুড়িটি পরিবার সকাল থেকেই রয়েছেন জলমগ্ন, তাদের কথায়, কোনো নেতাই এসে একবার খোঁজ খবর নেয় নি! বরং তারাই গিয়েছিলেন, পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল তুলে জলমগ্ন পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে জানতে। উত্তর আসে, কারো যদি অসুবিধা থাকে তাহলে স্কুল ঘর খোলা আছে! কিন্তু এই জল, আগামী দু’দিনের খাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় এলাকাবাসীর। তাদের আশঙ্কা, করোনার জন্য মাস্ক পড়ে রেহাই পেয়েছি! এরপর এই জল পৌঁছে যে দুর্গন্ধ বের হবে এবং তা থেকে যে ধরনের রোগ ছড়াতে পারে তার হাত থেকে বাঁচবো কিভাবে? পরিবারের বৃদ্ধ এবং শিশুদের জলমগ্ন অবস্থায় খাটের উপরেই রয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর আংশিক লকডাউন, আবারো আজ ঘোষিত হওয়া 15 দিন কাটাতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়! উপার্জনের পথ বন্ধ, তার মধ্যেই জলমগ্ন।