মানুষের প্রয়োজনেই, সকাল ছয়টা থেকে দুপুর 12 টা পর্যন্ত চালু হলো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পারাপার

পনেরো দিনের আংশিক লকডাউনে পড়না আক্রান্তের মৃত্যুর গ্রাফ কমেছে অনেকটাই! আবারো ঘোষিত হয়েছে 15 দিনের লকডাউন। সরকারি মতে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেই বেশ খানিকটা কমবে আক্রান্তের সংখ্যা, এবং তা প্রমাণিত। কিন্তু প্রমাণিত প্রবাদ বসে খেলে রাজার ধনও ফুরিয়ে যায়, জায়গায় নিম্নমধ্যবিত্তের বা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী দিন আনা দিন খাওয়াদের মাত্র রেশনে চাল গম বাদে ব্যবস্থা নেই কোন কিছুই। তাই ছোটো মাঝারি ব্যবসাদারদের খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে সকাল 10 টা পর্যন্ত। অন্যদিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অনিয়মিত যোগানের ফলে চাহিদার কারণে দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখার জন্য শিথিল হচ্ছে কিছু নিয়ম। সেটা অবশ্য জেলাস্তরে, নদীয়া এবং বর্ধমান দুই জেলার মধ্যস্থতায় আজ থেকে চালু হলো কালনা নৃসিংহপুর ফেরি পারাপার। তবে অবশ্যই আবশ্যকীয় ধান বিচুলি চাল মাছ আনাজ এবং রোগী পরিবহন। কালনা থেকে, নদিয়ায় আসে মাছ, ঔষধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত নানাবিধ উপকরণ, গো-খাদ্য বিচুলি ইত্যাদি। অন্যদিকে নদীয়ার শান্তিপুর থেকে চিকিৎসার কারণে বর্ধমানের যাওয়ার প্রয়োজন হয় অনেক মানুষের, বিভিন্ন আনাজ, আম, তাঁতের শাড়ি পারাপারের এই ব্যবস্থার ফলে জামায়াত ছাড়াই কিছুটা রেহাই পাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, বাজারে সমতা বজায় থাকবে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
বিভিন্ন ছোট খাটো ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখেছেন এর ফলে। ঘাট মালিকরাও জানান সকাল ছটা থেকে বারোটা পর্যন্ত আপাতত চালানোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে পারস্পরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখছেন তারা।