বিশেষ এই পরিস্থিতির মধ্যে আড়ম্বরতা নয় আজ আন্তর্জাতিক নার্সিং দিবস পালিত হলো সেবার মধ্য দিয়েই

প্রতি বছরের মে মাসের 12 তারিখ অর্থাৎ আজকের দিনে পালিত হয়ে আসছে নার্সিং দিবস। ভারতে 1965 এবং বাংলাদেশে 1974 সাল থেকে পালিত হয়ে আসলেও 1820 সালের 12 ই মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করা নাইটিংগেলের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটি আন্তর্জাতিক ভাবে নার্সিং দিবস হিসেবে পালিত করার কথা ঘোষণা করা হয় । কারণ হিসেবে জানা যায় 1853 সালে থেকে 1856 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি অসুস্থ সৈন্যদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে ছিলেন। এই যুদ্ধটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃটেন, তুরস্ক ফ্রান্স এবং সার্ডিনিয়া জোটের মধ্যে হয়েছিলো। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল শুধু একটি দেশের পক্ষে নয়, যুদ্ধে আহত সকল সৈন্যদের সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এরপর সারা পৃথিবী ব্যাপী তার সেবাকর্ম ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গুণমুগ্ধদের মাধ্যমে। তাই তাকে আধুনিক নার্সিং এর প্রবর্তক বলা হয়। 1 883 সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল এর গ্রামীন পরিষেবায় মুগ্ধ হয়ে তাকে রয়েল রেডক্রস সম্মানে ভূষিত করেন। নার্স মানে সাদা পোশাকে, আচরণে , কর্মে, ত্যাগে সবকিছুতে সাদা। কিন্তু একসময় সমাজপতিরা, ধর্মান্ধরা এই পেশাকে ভালো চোখে দেখতেন না বরং মানুষের সেবায় শুভ্রতাকে কলঙ্কিত করার সবরকম অপপ্রচার চালাতেন তারা।
তবে বর্তমানে সরকারি স্বীকৃতি, মাইনে দেওয়ার পর তাদের খানিকটা সম্মানিত করা গেলেও। আজও সংসার পরিজন ছেড়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পেশায় নিয়মিত পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই অন্যান্য বছর ছোটখাটো কিছু অনুষ্ঠান হয়ে থাকলেও, গতবছর বা এ বছরে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে, এই বিশেষ দিনটিতেও সেবার মধ্যে দিয়েই কাটাচ্ছেন তারা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোগমুক্ত জীবন দানকারী এই পরিষেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে আমরা গর্বিত! তবে সুস্থ হওয়ার পর মুখের হাসি, এবং সামান্য সহযোগিতাতেই আমরা খুশি! তাই সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সহযোগিতা কামনা করি।