পর্যাপ্ত অক্সিজেন পরিষেবা চালু আছে নদীয়ার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে

করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে বেড়েছে অক্সিজেনের সংকট । অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে মারা যাচ্ছে মানুষ । হসপিটাল ও নার্সিংহোমে যেন একটা প্রবল থেকে প্রবলতম অক্সিজেন হাহাকার চলছে । কিন্তু আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কতটা রয়েছে সেটা আপনি মাপবেন কিভাবে ? বা আপনার শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কত সেটা আপনি জানবেন কি ভাবে ?
না , একদম ঘাবড়াবেন না । থার্মোমিটার যন্ত্রের দ্বারা যেমন শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয় বা আপনার শরীরে জ্বর আছে কিনা বা কতটা আছে তার পরিমাপ করা হয় ঠিক তেমনভাবে বাড়িতে অক্সী মিটার যন্ত্রের সাহায্যে মাপা যায় আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বর্তমানে কত ।
সাধারণ ভাবে মেডিক্যাল সমীক্ষা অনুযায়ী মানুষের শরীরে শতকরা 96 থেকে 98 অক্সিজেন ওঠা নামা করা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার । এটি সুস্থ শরীরের লক্ষণ । তবে ডাক্তারি মতানুযায়ী অক্সিজেনের পরিমাণ 90 এর নিচে নামলে মানুষের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় ।
তবে অক্সিমিটারের সাহায্যে শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে গেলে বেশ কিছু নিয়মা বলী অবলম্বন করার দরকার । সেগুলির অত্যাবশ্যকীয় কয়েক টি হলো : 1. আঙুলে নেলপালিশ থাকা অবস্থায় অক্সিমিটারে হাতের আঙ্গুল প্রবেশ করলে হবে না ।
2. এক অক্সিমিটা রে পরীক্ষার আগে কম করে 5 মিনিট বিশ্রাম নেওয়া জরুরি ।
3. তবে অক্সিমিটারে হাতের তর্জনী বা মধ্যমা প্রবেশ করানো বাধ্যতামূলক ।
4. প্রাথমিক ভাবে অক্সিমিটারের পরিমাণ ওঠা নামা করতে পারে , তবে কয়েক মিনিট ওঠা নামা করা বাধ্যতামূলক ।
5. এই সময় অক্সিমিটার ভালোভাবে লক্ষ্য করাটাও জরুরি
6. অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি 92 থাকে তাহলে সাথে সাথেই তাকে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে ।
7. সংকটকালীন পরিস্থিতিতে 1075 নাম্বারে ফোন করতে হবে ।
তবে জীবনে বাঁচার প্রধান হাতিয়ার অক্সিজেন উৎপাদনে যাদের মুখ্য ভূমিকা ছিল , তাদের মধ্যে প্রথম হলেন — কার্ল ভিলহেন্স , যদিও তার বেশিরভাগ আবিষ্কারের কৃতিত্ব অন্য কেউ পেয়েছে । যদিও বিজ্ঞানী প্রিষ্টলে তার গবেষণা পত্র গুলি আগে প্রকাশ করেছিলেন ।
পাশাপাশি যার নাম করা যায় , তিনি হলেন কার্ল উইকাহেম ফিহিল যিনি 1772 সালে কয়েক টি উপায় বের করে অক্সিজেন কে বিচ্ছিন্ন করেন ।
এরই সাথে উক্ত কার্যে অগ্রগণ্য যার নাম করা যায় তিনি হলেন এন্তোইন লরেন্স লভোসিয়ার , তারও অক্সিজেন আবিষ্কারে যথেষ্ঠ ভূমিকার কথা বিজ্ঞান গবেষণা সূত্রে পাওয়া যায় ।
তবে গুজবে কান দেবেন না! জেলায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে, অক্সিজেন সরবরাহ চালু আছে। তাদের কাছ থেকে জানা যায় সপ্তাহে প্রায় প্রত্যেক দিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খালি সিলিন্ডার রিফিল করে চলেছেন তারা। এ বিষয়ে যারা সরবরাহ করে তারা কি বলছে শুনে নেব..