তৃণমূলের তিন শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তার পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার, অবিলম্বে রাজ্যপালকে পদত্যাগের দাবি তুলে নদীয়ার শান্তিপুরে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য গতকাল সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেসের 3 শীর্ষ নেতাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সিবিআই এর দাবি নারদা কান্ডে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও পরবর্তীকালে তাদের জামিন মঞ্জুর হলেও হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুরের স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পরে আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য রাজনীতি।গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাস্তায় অবরোধ কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এদিন নদীয়ার শান্তিপুরের 34 নম্বর জাতীয় সড়কে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় 1 ঘন্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। অবরোধের জেরে কিছুক্ষণের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয় রাস্তায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ও তত্ত্বাবধানে অবশেষে অবরোধ তুলে নেয় তৃণমূল সমর্থক রা।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল পৃথক দুটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত কিছুক্ষণ সময়ের ব্যবধানে। প্রথমটিতে লক্ষ্য করা যায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা, স্থানীয় দুই অঞ্চলের প্রধান, তৃণমূল st.sc.obc সেলের নেতৃত্ব এবং কর্মকর্তারা রাজ্যপালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। তার কিছুটা পরে আবারো একই স্থানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডুর নেতৃত্বে ওই এলাকার প্রধান উপপ্রধান জেলা পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে আরো একটি রাজ্যপালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। আজকের বিক্ষোভ জমায়েত সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরেতিনি বলেন, 8 দফা নির্বাচন করে কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে করোনা ছড়িয়েছে, সিবিআই কে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার মূলত এ রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমরা সেই কাজই করছিলাম। চক্রান্ত করে একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী কে শুধুমাত্র বিজেপি করার কারণে ছাড় দিয়েছে। তাই এ সময়, অরাজকতা তৈরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।