2012 সাল থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক পরিবারদের বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ শুরু করে নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ার স্মাইল ফাউন্ডেশন। 2020 সালে সরকারি নথিভূক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে রেজিস্ট্রি হয় স্মাইল ফাউন্ডেশন। গতবছর লকডাউনের আগে সংগঠনের অন্যতম সদস্য লক্ষণ ব্রহ্মর জন্মদিন উপলক্ষে আটশ জনের একটি কমিউনিটি কিচেন শুরু করার পর, প্রত্যেক সদস্য কোন না কোন দিন দায়িত্ব নিয়ে টানা 153 দিন বহাল রাখেন এই ব্যবস্থা। শুধু প্রান্তিক পরিবার নয়! করোনা পরিস্থিতি ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা পুলিশকর্মী ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্বাস্থ্যকর্মী সাংবাদিক প্রত্যেকেই উপস্থিত থাকতেন সেখানে। এরপর করোনা আক্রান্তদের খাবার ঔষধ পৌঁছানো, বাড়ি রাস্তা ঘাট সানরাইজ করা নানান গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরিযায়ী শ্রমিক দের থাকার ব্যবস্থা এবং তাদের ঘরে ফেরাতে উদ্যত হয়, সংগঠনের সদস্যরা। শিলিগুড়ি এবং চাকহে হে তাদের দুটি শাখা অফিস থেকে, প্রত্যহ করোনা আক্রান্ত পরিবারের খাদ্য পৌঁছানো স্যানিটাইজ করা এবং পথের সারমেয় দের নিয়মিত খাবার বন্দোবস্ত করে থাকেন তারা। সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান গত বছরে অক্সিজেনের ছোট পাউচ দিলেই চলত কিন্তু এবছর 25 শো পাউন্ডের বড় সিলিন্ডার নিয়ে 30 জনকে সুস্থ করা গেছে এখনো পর্যন্ত, ছজনের দিনে এবং রাতে অক্সিজেন পরিষেবা চালু আছে, তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় পাঁচজনকে কেড়ে নিয়েছে করোনা। ডক্টর দিগন্ত মন্ডল কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে
পরিষেবা চালু হয়। এ কাজে মূলত লক্ষণ ব্রম্ভ, সুব্রত কর্মকারের দায়িত্বে, তবে টোটো চালক উত্তম দা তাদেরই একজন। স্যানিটাইজার এর জন্য এগিয়ে এসেছে রাজ্জাক হাসিবুলের সাথে তিয়াসা, ঝুম্পা, শুক্লা কুন্ডুর মতো মহিলারাও। প্রবীণ সদস্যরাও ঘরে বসে নেই, প্রদীপ বণিক, অনুকূল সরকারের মতো বেশ কয়েকজন প্রবীণরা দায়িত্ব নিয়েছেন ঔষধ পৌঁছানোর।
সকল কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রিক পরামর্শদাতা হিসেবে সহযোগিতা করে চলেছেন ড:সঙ্গীতা রায়চৌধুরী ,ড: দিগন্ত মন্ডল, ডঃ আমোদ প্রসাদ, ড: প্রীতম অধিকারী, ড: যতন রায়চৌধুরির মোতো অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুরা। ধুবুলিয়া থানা এবং সাংবাদিক সুদীপ ভট্টাচার্য্যও পাশে থেকে সহযোগিতা করেন সর্বদা।