কার্যত লকডাউনে আর্থিক অনটনের কারণে মানসিক অবসাদে তাঁত ঘরের ভেতরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তাঁত শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটে গত দোসরা জুন শান্তিপুর সুত্রাগড় দক্ষিণপাড়া ভদ্রকালী তলা এলাকায়, পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ ঘোষ পেশায় তাঁত শ্রমিকের কাজ করতেন। নিজের বাড়িতেই দুটি যন্ত্রচালিত তাঁত চালাতেন দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে তাঁতের শাড়ি বিক্রি না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁত দুটি। এরপর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ওই যন্ত্রচালিত তাঁত দুটি চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালাতেন। এরপর আবারো কার্যত লকডাউন শুরু হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়ে বিশ্বনাথ ঘোষ এর পরিবার, রোজগার না থাকায় বাড়ির ছেলে মেয়েদের কিভাবে অন্য যোগাবেন এই নিয়ে দিনদিন মানসিক অবসাদে ভোগেন তিনি। বুধবার সকাল 7:30 নাগাদ বাড়ির তাঁত ঘরের মধ্যেই বছর পঞ্চাশের বিশ্বনাথ ঘোষ কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন, পরিবার সূত্রে জানা যায় , আর্থিক অনটনে কারণেই মূলত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তাঁত শ্রমিক এর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
আজ সেই স্বজনহারানো পরিবারের পাশে দাঁড়ায় ভারতীয় মজদুর সংঘ। তার বাসভবনে গিয়ে, পরলৌকিক ক্রিয়াকর্মাদি করতে সহযোগিতা করে। সামান্য কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়। এ ব্যাপারে সংগঠনের নদীয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞান মোহন বসাক জানান, এ ক্ষতি অপূরণীয়! এ সময় অসহায় পরিবার বর্গের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।