শান্তিপুর শহরের 21 নম্বর ওয়ার্ডের এক 48 বছর বয়স্কা মহিলা গত তিনদিন আগে করনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন। তার স্বামী এবং দুই কন্যা বর্তমান। স্বামী এবং এক কন্যার শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ। আজ সকাল ছটা নাগাদ ওই মাঝবয়েসী অসুস্থ ভদ্রমহিলার শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আনার জন্য দীর্ঘ এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তার এক দেওর এবং এক ভাগ্নেকে! এরপর শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি অ্যাম্বুলেন্স তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে চলে যায়। তিন কিলোমিটার পথের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা নিলেও পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনও অভিযোগ জানান নি। এরপর হাসপাতালে ডাক্তার বাবু দেখার পর, ওই মহিলাকে মৃতা বলে জানালে, আত্মীয়-স্বজন পরিজনের খুব বেশি সহযোগিতা না পেয়ে তিনি বিভ্রান্তির মতন সকলের সাথে যোগাযোগ করতে বাড়ি চলে যান। স্ট্রেচারে রাখা ওই মৃতদেহ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি গেটের সামনে পড়ে থাকে। ছটা থেকে দুপুর 1 টা পর্যন্ত মৃতদেহ প্রখর রোদের মধ্যে পড়ে থাকে, হাসপাতাল ইমারজেন্সি আসা অন্যান্য রোগীরা জেনে বা না জেনে যাতায়াত করছেন। হাসপাতাল সুপারেন্টেন্ড তারক বর্মন এ বিষয়ে জানান, এ ব্যাপারে শান্তিপুর থানার আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে, পৌরসভার মৃতদেহ সৎকারের গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেহেতু তিনি বাড়িতে মারা গেছেন তাই মৃতদেহ সার্টিফিকেট প্রদানের এর দায় আমাদের নয় তবুও মানবিকতার কারণে, আমরাই দিয়েছি ডেথ সার্টিফিকেট। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ করেনি, তবুও অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি শান্তিপুর থানার আধিকারিককে খোঁজখবর নিতে বলেছি। মৃতদেহ রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালে মৃত্যু হলে 24 ঘন্টার জন্য একটি মর্গের ব্যবস্থা করা হয়েছে অতি শীঘ্রই তা চালু করা হবে।