তীব্র যানজট ! বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের রক্তাক্ত হওয়ার প্রতিবাদে নদীয়ার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক রুদ্ধ করে দিল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ
মলয় দে নদীয়া :-
জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বি’ক্ষোভ এবং হা/মলা’র মুখে পড়েন শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। ধাক্কাধাক্কি, এমনকি চ’টি ছো’ড়া হয় বিধায়ককে লক্ষ্য করে। গা/লা*গা/লি। হা’ম’লা করা হয় তার গাড়িতেও। র/ক্তা/ক্ত মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তাকে দ্রুত চালসার মঙ্গলবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে বিধায়ক শংকর ঘোষের। তৃণমূল আশ্রিত দু’স্কৃতিদে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক শংকর ঘোষ।
এরই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। নদীয়ার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রানাঘাট তপশিলি কেন্দ্রের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার রানাঘাটের বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি। এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে তাদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে সাংসদ জানান তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের লেটেল বাহিনী ইট লাঠি এবং ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে এরা যে একজন বিধায়ক সাংসদদের কোনো, নিরাপত্তা নেই।
বিধায়ক বলেন, সম্প্রতি জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১১ জনের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তখন ছিলেন উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত। যখন উত্তরবঙ্গ ভাসছে তখন তিনি কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু বিজেপির সাংসদ হোক কিংবা বিধায়ক অথবা যেকোনো জনপ্রতিনিধি তারা রয়েছে মানুষের পাশেই আর সেই মানুষের পাশে থাকতে গিয়েই তৃণমূলের চক্ষুশুল কারণ নানান দুর্নীতির কথা উঠে আসছে মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্য থেকে। আজকের রক্তাক্ত ঘটনায় মানুষের উপর দায় চাপাতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে এই হিংস্রতা দাঁড়িয়ে দেখেছে পুলিশ প্রশাসন। তাই রাজ্যের শাসক এবং পুলিশের বিরুদ্ধেই সর্বত্র পথ অবরুদ্ধ হবে।





