এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে, বিভিন্ন সময় সামাজিক মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করে পোস্ট। অপরদিকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় যুবকের শাস্তি চেয়ে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের। ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া চটকা তলা এলাকার। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই এলাকারই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা রিম্পা বসাকের ভাসুর কাজল বসাক নামে এক যুবক নিত্যদিন এলাকার মানুষজনকে চুরি ছ্যাচরামি মদ্যপানসহ নানান বিষয়ে দোষারোপ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের সাথে সুসম্পর্ক আছে বলে গ্রামের সরল সাদাসিধা আদিবাসী মানুষ জনকে ভয় দেখানো হয়। এমনকি সাধারণ বিষয়ে পারিবারিক অশান্তিকে টাকার বিনিময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে তা পোস্ট করে সমস্যা আরো জটিল করে তোলে ।
এই ধরনের নানান বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা অর্থাৎ অভিযুক্তর বাড়িতে আজ সকলে মিলে জানাতে গেলে স্থানীয় ক্লাব এবং এলাকার মানুষজনকে চোর ডাকাত আখ্যায়িত করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে এরপরই এলাকার মানুষজন এই বিষয়ে তার পরিবারের সঙ্গে এবং তার বাড়িরই পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কাজল বসাক ও তার পরিবার এলাকাবাসীকে ডাকাত বলে অভিহিত করেন। এবং তাদেরকে অভিযোগ করা হয় তারা নাকি ডাকাতি করতে এসেছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষ। তারপর ঘটনাস্থলে ওই বাড়ির সামনে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। ঘটনার খবর পেয়ে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে তাদের অভিযোগ লিখিত আকারে জানানোর কথা জানান। এরপরই ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে এসে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা এবং এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ অভিযুক্ত কাজল বসাক আগে তাদের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিন্তু তিনি মহিলাদের কু প্রস্তাব দিয়ে পাড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত করায় এবং টাকা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানান বিভ্রান্তি মূলক বার্তা ছড়ানোর কারণে তাকে পাড়ার এবং ক্লাবে ডাকা হয় না। তাতেই রাগ কাজল বসাকের। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এলাকার মানুষজনকে দোষারোপ করে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে মিথ্যে মদ খাওয়ার অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। এর আগেও সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করেছে কাজল বসাক তাতে বেশ কিছু মানুষ জেলও খেটেছে বলে অভিযোগ। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত কাজল বসাকের একটি অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে যাতে করে এলাকার ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাচ্চাদের উপর তার প্রভাব পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রেখেছে কাজল বসাক। তাই অভিযুক্ত শাস্তি চেয়ে এদের পুলিশ ফাঁড়িতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের দাবি অভিযুক্ত কাজল বসাক নিজেকে সংবাদকর্মী নামে পরিচিত করেন আর তাতেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা এবং তাদেরকে বিভিন্ন দোষারোপের মাধ্যমে হেনস্থা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। তাই অবিলম্বে অভিযুক্ত কাজল বসাকের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে সকল অধিবাসী। এরপরেও যদি অভিযুক্ত সাজা না হয় তাহলে তারা উর্দ্ধতন প্রশাসনিক মহলে বিষয়টি জানাবেন এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। যদিও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।





