আমঘাটা রুটে অবশেষে শুরু হল বহু প্রতীক্ষিত ট্রেন পরিষেবা

কৃষ্ণনগর–আমঘাটা রুটে অবশেষে শুরু হল বহু প্রতীক্ষিত ট্রেন পরিষেবা। শনিবার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দীর্ঘদিনের জল্পনা। রেল সূত্রে খবর, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে। এই নতুন লোকাল পরিষেবা চালুর ফলে কৃষ্ণনগর শহর ও আমঘাটা অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে বড়সড় সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষত ছাত্রছাত্রী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আনন্দের স্রোত বইছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন থেকে আমঘাটা (হল্ট) পর্যন্ত তিন জোড়া নতুন ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু করা হচ্ছে। সকাল, দুপুর এবং রাতে—দিনের তিন বেলায় ট্রেন চলাচল করবে।

সকালে প্রথম লোকাল ছাড়বে সকাল ৬:৪৫-এ কৃষ্ণনগর সিটি জংশন থেকে এবং ৭:০০-এ পৌঁছাবে আমঘাটায়। সেখানে অল্প বিরতি নিয়ে ৭:০৮-এ ফের রওনা দিয়ে ৭:২৩-এ ফিরে আসবে কৃষ্ণনগরে।

দুপুরের পরিষেবায় দুপুর ১:৩০-এ কৃষ্ণনগর থেকে ছাড়বে দ্বিতীয় ট্রেন, যা ১:৪৫-এ আমঘাটায় পৌঁছাবে। ১:৫৩-এ আমঘাটা থেকে ছেড়ে ২:০৮-এ আবার কৃষ্ণনগরে ফিরবে লোকালটি।

রাতের শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯:৩০-এ কৃষ্ণনগর সিটি জংশন থেকে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমঘাটা থেকে ফিরে এটি ৯:৫৫-এর মধ্যে কৃষ্ণনগরে পৌঁছাবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, নতুন রেল পরিষেবা চালু হলে দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ আরও সুগম হবে। বহুদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় তাঁদের মধ্যে স্বস্তির হাওয়া। রেল বিভাগও আশাবাদী—এই নতুন রুট চালুর ফলে স্থানীয় যাত্রীদের সার্বিক পরিবহণব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, দপ্তরের শিয়ালদা ডিভিশনের এডিআরএম সহ রেলের আধিকারিকরা। বর্তমানে আমঘাটা পর্যন্ত রেল চালু হলেও আগামীতে শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্তই চলবে রেল মঞ্চ থেকে এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন এদিনের প্রধান অতিথি তথা সংসদ জগন্নাথ সরকার। যদিও এদিন মঞ্চ থেকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৎকালীন রেলমন্ত্রী তথা বর্তমান রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র কটাক্ষ করেন জগন্নাথ সরকার। শুধু তাই নয় গতিময় ভারতের রেল গতিময় হয়েছে তাই আগামীতে শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত রেলের চাকা অবশ্যই চলবে বলে সাধারন মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি তবে যে জমি জট হয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার যদি অতিসত্বর সেই জমিদার ঠিক করে দেয় তাহলে ভোটের আগেই চলবে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল। ওর দিকে নবদ্বীপ ঘাট থেকে পুরী মায়াপুর পর্যন্ত জগন্নাথ এক্সপ্রেস এবং তার সঙ্গে সঙ্গে এসি লোকাল ট্রেন চালু করা হবে রেলের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। অপরদিকে রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের এ ডি আর এম রাজেশ কুমার জানান বর্তমানে তিন জোড়া ট্রেন চালানো হলেও পরবর্তীতে ১৫ দিন পর থেকে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর আবারও রেল বিশেষ ব্যবস্থা নেবে এবং পরবর্তীতে শান্তিপুর পর্যন্ত যে রেল চলাচল এবং নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত চলাচল হবে রেল।