মলয় দে নদীয়া :- ১৮৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আজকের দিনে অর্থাৎ ২৮শে ডিসেম্বর, তেজপাল সংস্কৃত কলেজে ৭২জন প্রতিনিধি নিয়ে অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।যার মধ্যে বাংলার অন্যতম ছিল উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নওরোজি, ফিরোজ শাহ মেহতাব, আনন্দ চালু, কে টি তেলং, বদরূদ্দিন তৈয়বজী প্রমূখ।
আজও সে পতাকায় ইতিহাস জড়িয়ে ভারতবর্ষের দীর্ঘদিনের জাতীয় কংগ্রেসের দেশের দায়িত্বভারের নানান কাহিনী। দীর্ঘদিন দেশের দায়িত্বভার ছিলো জহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী । আজও সে পতাকা প্রবাহমান, তবে পতাকা দল থেকে সরে গেছেন অনেকেই! নদীয়ার মাটিতে আজ যারা তৃণমূল নেতৃত্বে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদে তাদের বেশিরভাগ অংশই রাজনৈতিক হাতেখড়ি হয়েছিলো সেই জাতীয় কংগ্রেস থেকেই! জনগণের মঙ্গলার্থে দোহাই দিয়ে, যারা বেশিরভাগই বর্তমান সরকারের সাথে যোগদান করেছেন। অথচ আবেগপ্রবণ সেদিনের ছোটো বুথ কর্মী, আজও জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি সমান যত্নবান। তারা বিশ্বাস করেন, একদিন আঞ্চলিক দলের গুরুত্ব কমবে বর্তমান কেন্দ্র সরকারের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মাথা তুলে লড়াই করতে পারে একমাত্র জাতীয় কংগ্রেস। আগামীকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দলের।
জেলার কৃষ্ণনগর, চাকদহ, রানাঘাট, শান্তিপুর ,করিমপুর, বেথুয়া, পলাশী সর্বত্রই আজ ১৩৬তম জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো স্বল্প উপস্থিতিতেও আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যার মধ্যে শান্তিপুর কে সি দাস রোডে মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করতে দেখা গেলো শান্তিপুর জাতীয় কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে মথুরা কর্মকার বিপ্লব ঘোষকে।