হুগলির পুরশুড়ায় দলীয় জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউস ডেস্ক, জেলা : – হুগলির পুরশুড়ায় দলীয় জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে বলেন যে অপমান মানতে পারেননি বলেই প্রতিবাদে মঞ্চ ছেড়েছিলেন তিনি।

শনিবার নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা। তিনি বক্তব্য রাখতে যাওয়ার সময় দর্শকাসন থেকে আচমকাই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলা হয়। প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা না দিয়েই মঞ্চ ছাড়েন মমতা। সেই ঘটনার পরে সোমবারই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশ্য সভা।সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘‘‘আমরা কি বাড়িতে কাউকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে এনে চড় মারতে পারি?’’ বললেন, ‘‘আমাকে ওখানে ডেকে অপমান করা হয়েছে। কিছু ধর্মান্ধ টিজ (টিটকারি) করেছে। নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের সংস্কৃতি এটা নয়। আসলে নেতাজিকে অপমান করা হয়েছে। বাংলার অপমান, নেতাজির অপমান আমি কিছুতেই মেনে নেব না। সেই জন্যই সে দিন কিছু বলতে আমি অস্বীকার করেছিলাম।’’ইতিমধ্যেই ভিক্টোরিয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেস আর সিপিএম-ও সে দিনের কাণ্ডকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অপমান বলে মনে করছে। অন্য দিকে বিজেপি মমতার সে দিনের ভূমিকাকে দেখছে অসৌজন্য হিসেবে ।

সোমবারের সভা থেকে একাধিক গুরুত্বপূ্র্ণ ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানান, আপাতত জুন মাস পর্যন্ত ঘোষণা করা হলেও, পরবর্তী কালেও বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তাঁর সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ‘‘আমরাই ক্ষমতায় আসব, আর জুনের পরেও আমারা এই রেশনের প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাব।’’ পাশাপাশি, সোমবার অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মমতা। যান্ত্রিক কারণে যদি কার্ড দেওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।