নতুন বাংলা ডেস্ক: আবারো উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা, হালিশহরে বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত এমনি দাবি পদ্ম শিবিরের। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বীজপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রীতিমত পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় কাউকে লাঠিচার্জ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধেবেলা হালিশহর এলাকায় ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই ছিলেন সৈকত ভাওয়াল নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক। তিনি বিজেপি বুথ সভাপতি হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা সৈকতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারা বাইকে করে এসে তারা সৈকতকে মারধর করতে শুরু করেন। পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনা দেখে দলের অন্য সদস্যরা ছুটে গিয়ে সৈকতকে কোনওক্রমে উদ্ধার করেন। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজেপির অভিযোগ, বাইক নিয়ে যারা সৈকতকে ঘিরে ধরেছিল, তারা সকলেই এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত এবং তৃণমূল আশ্রিত। ফলে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ সকলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। ল্যাংড়া বাবাই-সহ তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।