স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়ে খুশি আমজনতা

মলয় দে নদীয়া:-অসংগঠিত ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত এবং সরকারী কর্মচারী যারা পেরোলে বেতন পেতেন না, তারাই একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতেন।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যের এই পরিষেবা এখন থেকে সকলের জন্য। আপাতত রাজ্যে 1600এবং অন্য রাজ্যে বেশ কিছু বাছাই করা সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে এই পরিষেবা। যদি কোন উপভোক্তার কর্পোরেট স্বাস্থ্যবীমা করাও থাকে সেক্ষেত্রেও এই প্রকল্প আওতাভুক্ত হতে কোন বাধা সম্মুখীন হতে হবে না। পরিবারের জ্যৈষ্ঠ মহিলা সদস্যের নামে অন্তর্ভুক্ত হবে অন্য পরিবার সদস্যদের নাম, সেক্ষেত্রেও পরিবার সদস্য সংখ্যা কোনো বাধা নয়।যদি পরিবারের মহিলা না থাকেন তাহলে অবশ্য পুরুষ সদস্যের নাম নথিভুক্ত করুন করা হবে বলে জানা যায়। যেকোনো বয়স পেশা এবং আয়ের মানুষ, চাইলেই প্রকল্পাধিন হতে পারেন। এই ভাবেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, দুয়ারে সরকার বা ভিডিও এসডিও তে আবেদনের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের প্রায় 9 কোটি মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে চলেছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কিন্তু গত কালকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে তিনটি সমস্যা সম্বলিত লিখিত জমা পড়েছে সরকারের কাছে। তাদের দাবি, প্রথমত সাধারণ চিকিৎসা করাতে গেলে, সুপার মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল ভিড়ের কারণে, ব্যাহত হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। দ্বিতীয়তঃ চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল ন্যূনতম এক মাসের মধ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত না হলে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়! তৃতীয়তঃ এত সংখ্যক মানুষকে এত অল্প অর্থে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় কেউ! সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালে মধ্যে চাপানউতোর বৃদ্ধি হচ্ছে ক্রমশ! অন্যদিকে আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে পৌঁছানোর ভিড় বাড়ছে ক্রমশ! অথচ পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ড প্রিন্টিং, রেজিস্ট্রেশন এর যন্ত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে দেখা যাচ্ছে না কোনো জায়গায়। ফলে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে কর্ম দিবস নষ্ট হচ্ছে তাদের। তাতেও ক্ষতি নেই, যদি প্রকৃতপক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা মেলে! তবে কিছুদিন আগে যুব মোর্চার চাকরি প্রতিশ্রুতি কার্ড বন্ধ হওয়ায়, শিক্ষক, কলেজ কর্মচারী, সিভিল ডিফেন্স এবং বেশ কিছু সরকারি বিভাগে পাস করা সত্ত্বেও চাকরি না মেলার মতো ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তারা।