করোনা সংক্রমণের জেরে একসময় জারি হয়েছিলো লকডাউন। লকডাউনের ফলে প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন অাবার কেউ বা পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে এক সময় বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনলাইনের মাধ্যমে চলে পড়াশুনা। সেই সময় থেকে বিদ্যালয়গুলি থেকে পরিবারের অভিভাবকের হাতে দেওয়া শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিল এর জিনিসপত্র ।
বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় প্রতিমাসে দেওয়া হচ্ছে এই মিড-ডে-মিল। বর্তমানে বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন চালু হয়েছে। ফলে মার্চ মাসেও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে মিড-ডে-মিল।
নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান , মার্চ মাসে মিড ডে মিলে কিছু জিনিসপত্রের সংযোজন ঘটেছে।
মার্চ মাসে দেওয়া হচ্ছে : একটি ট্যাবলেট ,
চাল-২ কেজি, ছোলা-১ কেজি, আলু-১ কেজি, সয়াবিন-২০০ গ্রাম, মসুরির ডাল-২৫০ গ্রাম এবং লাইফবয় সাবান ১০ টাকা দামের একটি।
শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নবম দশম শ্রেণীর জন্য চবনপ্রাস, মধু এবং হরলিক্স এর ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি তবে, এখনো কোনো লিখিত নির্দেশ আসেনি!
মিড-ডে-মিল নিতে আসা একজন অভিভাবক বলেন “করোনার অাগে ট্রেনে হকারী করে সংসার চালাতাম কিন্তু কাজ হারিয়েছিলাম। বর্তমানে আবার ট্রেনে হকারি শুরু করেছি কিন্তু সেই করোনার সময়ে ছেলের মিড-ডে-মিল এর প্রাপ্য জিনিস জীবনে বাঁচার ক্ষেত্রে খুব সহযোগীতা করেছে”।