সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই জামাই এর বিরুদ্ধে। অবশেষে ওই বৃদ্ধর ঠাঁই এখন স্থানীয় ক্লাবের বারান্দায়। পাড়ার সকলে তিন বেলা খেতে দেন তাকে, এভাবেই চলছে আজ চার পাঁচ দিন। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বৃদ্ধ। ঘটনাটি শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বুইচা এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব ইন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি অবিবাহিত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে এক সঙ্গেই থাকতেন। তার বেশ কিছু সম্পত্তি ছিল তাকে দেখভালের জন্য সেই সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় 70 লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করে নেয় তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার দুই কন্যার স্বামী অর্থাৎ সম্পর্কে দুই জামাই।ওই টাকা নিয়ে তারপরে তাকে দেখভালের জন্য তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে লিখিত কোনো প্রমাণ নেই ঐ বৃদ্ধের কাছে।বেশ কিছুদিন সেখানে রাখার পর টাকা আত্মসাৎ করে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ক্লাবের ফাঁকা বারান্দায় তার এখন একমাত্র ভরসা। ঝড়-বৃষ্টি রোদ্দুর কোভিড পরিস্থিতিতে উপেক্ষা করেই বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ওই অসুস্থ বৃদ্ধ। এলাকার মানুষের দাবি তার তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন, পাশাপাশি তার দেখভালের জন্য যে অর্থ যারা আত্মসাৎ করেছিলেন সেই টাকা তাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক যদিও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিডিও এবং থানায় ওই দুই জামাই এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেন বৃদ্ধ।
তার অপর এক ভাতুষ্পুত্র জানান “জ্যাঠামশাই তখন কারোর কথাই শোনেন নি! অতগুলো টাকা, নিজের নামে রেখে দিলে আজ এই অবস্থা হয় না। আমরা যতদূর সম্ভব উনার দেখভাল করেছি, আইনি উপায়ে টাকা ফেরত পেলেই উনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অভিযুক্ত দুই জামাই এর মধ্যে একজন গৌতম বাবু জানান কোন টাকা পয়সা আমরা উনার কাছ থেকে নিইনি, বরং মানবিকতার কারণে ওনাকে কিছুদিনের জন্য আশ্রয় দিয়েছিলাম গত কালি পুজোর সময় ফুলিয়ায় আমার অপর এক কাকা শ্বশুরের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নেন।
অন্য আরেক জামাই বলাই বাবুর ফোন নাম্বারে তাকে পাওয়া যায়নি।