মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা : স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক দু’জন। তারমধ্যে একজন বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। আর অস্থায়ী শিক্ষিক রয়েছেন দু’জন। এদিকে স্কুলের পড়ুয়া প্রায় তিন শতাধিক। এর মধ্যে একজন শিক্ষিকার বদলি হলে কি ভাবে পঠনপাঠন চলবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। শিক্ষিকার বদলি নিয়ে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন অভিভাবকরা। বুধবার স্কুলের টিচার ইনচার্জ (টিআইসি)-কে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলে।
স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন শতাধিক পড়ুয়ার জন্য চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন স্থায়ী ও দুজন অস্থায়ী। এর মধ্যে সায়নী ঘোষ নামে একজন শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাচ্ছেন। তাই বদলি রুখতে এই বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারী এলাকার এক বাসিন্দা মহম্মদ আলি জিন্নাহ বলেন, ‘আরও স্থায়ী শিক্ষক না আসা পর্যন্ত আমরা এই শিক্ষিকার বদলি হতে দেব না।’ এই বিষয়ে শিক্ষিকা সায়নী ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে আমার বদলি হচ্ছে।’ স্কুলের টিআইসি ভিক্টর কুণ্ডু বিষয়টি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন।’