বীরভূম: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় । রাজ্যের যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাতে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানাব এমন কথাও বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় শান্তিনিকেতনে।
সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান যে রাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন। আতঙ্কের জোরে ফের কুর্সি হাসিল করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, এই হিংসা ও আতঙ্কের রাজনীতি যাতে শেষ হয়, তার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাব যাতে এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় ,মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন।
এই মন্তব্যের প্রতিবাদে মন্তব্য করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, আমরা কোনও আতঙ্কের সৃষ্টি করছি না। “বর্গি-সাহেবরা” যেখান থেকে এসেছেন সেখানে আতঙ্ক থাকে। এছাড়াও তিনি বলেন যে ওদের হাতে সরকার আছে, ক্ষমতা আছে, অপব্যবহার করছে। আমাদের কিছু আসে যায় না।
প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপি বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই ঘটনা। বিজেপি সূত্রে দাবি, বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল শনিবার সন্ধেয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে হালিশহরের বারেন্দ্র গলিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়েছিলেন।সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে মারধর করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতিকে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় । প্রতিক্রিয়ায় সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, হালিশহরে সৈকত ভাওয়ালের নৃশংস মৃত্যু সঙ্কেত দিচ্ছে,জানাচ্ছে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন কতটা রক্তাক্ত হতে চলেছে। বীজপুরের তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর নাম করে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, বিজেপির নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।