মলয় দে, নদীয়া :- অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা আর অবশ্যই স্বাস্থ্য , রাষ্ট্রের কাছ থেকে একজন নাগরিক হিসেবে এগুলি ভীষণ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বেশ কিছু প্রকল্প, বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্য বীমা চালু থাকলেও, স্থানীয়স্তরে ত্রুটি-বিচ্যুতির ফলে ভোগান্তির চরম নিদর্শনও মাঝে মাঝে উঠে আসে আমাদের সামনে।
লকডাউন চলাকালীনও সরকারি নির্দেশে বিভিন্ন থানায়, ক্লাব এ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সক্রিয়তায় রক্তদানের আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন জেলায়। অথচ আজ সাত-আট মাস আগে দেওয়া রক্তের কার্ড এখনো মেলেনি বলেই অভিযোগ বিভিন্ন রক্তদান আয়োজক কর্তৃপক্ষের। বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবি, ব্লাড ব্যাংক সম্বলিত এক হাসপাতালে রোগী ভর্তির জন্য, বাড়ির নিকটস্থ অপর এক ব্লাডব্যাংক সম্বলিত হাসপাতালে রক্তদান করার বন্দোবস্ত নেই। গতকাল সন্ধ্যায় শান্তিপুর ডাকঘরে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সভায় লেখক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী , বুদ্ধিজীবী সকলেই একযোগে বলেন এ ধরনের নানা সমস্যায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , তাদের উদাসীনতায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এ ধরনের সমস্যা। হাসপাতাল কেন্দ্রিক নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে উঠে আসলো রাস্তা, আলো, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার মতো বেশ কিছু জ্বলন্ত সমস্যাও। প্রায় প্রত্যেকের মুখেই আক্ষেপের সুরে ভেসে আসে, বহু ঐতিহ্যমন্ডিত এই শহরে বিভিন্ন পর্যায়কালে শাসনভার থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কোন দলই আন্তরিক হয়নি জন্মভূমির শ্রীবৃদ্ধির ব্যাপারে।
গতকালের বিক্ষোভ সভা থেকে, সাধারণ মানুষের জন্য সমর্থনে সংগৃহীত হয় এক হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর! যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সময় অভাবে, প্রকাশ্যে না আসতে পারলেও মানসিক উপস্থিতি জানিয়েছেন তারা। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষের দিকে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য কে দেখা গেলো স্বাক্ষর প্রদান করতে, তিনি তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জানান ” জনগণ আমায় জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে, তাদের দাবি আমারও দাবি, তাই সহমর্মিতা জানাতেই উপস্থিত হয়েছি। এবং এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি দাবি পেশের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করতে রাজি।”