আশেপাশের জেলাগুলিতে করোনা টিকার আকাল৷ বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া৷ মালদা জেলায় সেই সমস্যা নেই৷ জেলায় রয়েছে পর্যাপ্ত টিকা৷ কিন্তু সম্প্রতি কোথাও কোথাও মানুষেরই করোনার টিকা নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে৷ তার মধ্যে রয়েছে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকও৷ আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ জন টিকা নিতেন, এখন সেখানে সংখ্যাটি নেমে এসেছে অনেকটাই৷ আরও বড় বিষয়, দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেই এই অনীহা বেশি ধরা পড়ছে৷ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তরও৷
এরই মধ্যে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের টিকা নেওয়ায় অনীহার বিষয়টি নজরে এসেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের৷ জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন টিকা নিয়ে বসে থাকছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ কিন্তু টিকা নিতে মানুষজন তেমন একটা আসছেন না৷ ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যেও টিকা নেওয়ার উৎসাহ তেমন একটা নেই৷ আরও বড় বিষয়, যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার কথা, তাঁদের বেশিরভাগই টিকাকরণ কেন্দ্রের পা মাড়াচ্ছেন না৷ ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত চাঁচল ১ নম্বর ব্লকে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন৷
যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আখতার হোসেন দাবি করেছেন, “গত চার-পাঁচ মাসে অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন৷ অনেকের দুটি ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ এই মুহূর্তে এই ব্লকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের বেশিরভাগেরই টিকা নেওয়া হয়েছে৷ তবে আগের থেকে এখন টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে গিয়েছে৷ আগে দিনে গড়ে ৬০০ জন টিকা নিতেন৷ কখনও সেই সংখ্যাটি হাজার ছাড়িয়ে যেত৷ কিন্তু এখন প্রথম ডোজের জন্য দিনে ৭০-৮০ জন আসছেন৷ তবে যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা, তাঁরা ঠিকমতো টিকাকরণ কেন্দ্রে আসছেন না৷ একেকদিন মাত্র চার-পাঁচজন আসছেন৷ কিন্তু একটি ভায়াল থেকে ১০-১১ জনকে টিকা দেওয়া হয়৷ তাই তাঁদের ঘুরে যেতে হচ্ছে৷ তাঁরা মূলত ৪৫ বছরের বেশি বয়সের৷ আমরা ঠিক করেছি, এবার থেকে সপ্তাহে দু’দিন টিকা দেওয়া হবে৷ সোমবার ও বুধবার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই এই টিকা দেওয়া হবে৷”