মাংস এবং ডিমের ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে কোয়েল পাখির! জীবিকার সন্ধানে বিশেষ প্রতিবেদন

একটা সময় ছিলো যখন বাড়িতে উঠতো না পোল্ট্রির মাংস! খাসি নাহলে দেশি!
খাদ্যের যোগান ঠিকঠাক মতন সরবরাহ করার কারণে, বর্তমানে সরকারি সিলমোহর লেগেছে পোল্ট্রি শিল্পে। সাধারণের জিভের নাগালে এসে পৌঁছেছে মাংস। নেপথ্যে অবশ্য, ডাক্তার বাবুদের ভূমিকাও কম নয়! সোনালী, কৃষ্ণমূর্তি, পাটনাই আরো নানান প্রজাতির মাংস জায়গা করে নিয়েছে ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার সব রকম প্লেটেই।
তবে হাই প্রোটিন ও লো ফ্যাটের কোয়েল ক্রমাগত এগোচ্ছে খাবার টেবিলের দিকে। “তা” দিয়ে নয়, ইনকিউবেটরে 16 থেকে 18 দিন সময় বাদে ফুটছে কোয়েল ছানা! ডিমের ওজন 7 থেকে 15 গ্রাম, আর পূর্ণাঙ্গ পাখির ওজন 200 থেকে 250 গ্রাম। দুই মাস বয়স থেকেই প্রথম বছরেই প্রায় 300 ডিম দিতে থাকে, পাঁচ বছরের কাছাকাছি জীবদ্দশার অন্তিম লগ্নে 400 টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একদিনের বাচ্চা 10 টাকা, পাঁচ সপ্তাহের বাচ্চা 50 টাকা, ডিম পাইকারি দুই টাকা, খুচরো তিন টাকা, এভাবেই লক্ষ্মী লাভ হয় ফার্মের মালিকের। তবে মুরগির থেকে কোয়েল চাষে ঝুঁকি অনেক কম, মুরগির মতো টিকা দিতে হয় না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও যথেষ্ট বেশি এমনটাই জানালেন কোয়েল প্রতিপালক। তার কথা অনুযায়ী সবচেয়ে কম খরচে, কম ঝুঁকিপূর্ণ বেশি লাভ সম্ভব কোয়েল প্রতিপালনে। আসাম গৌহাটিতে এবং আমাদের রাজ্যের বর্ধমান নদীয়ায় খোলাবাজারে খুচরা বিক্রি হতে দেখা যায়! তবে ইউটিউবের দৌলতে এখন সারা রাজ্যময় তাদের বিচরণ ক্ষেত্র। উপযুক্ত খামার থাকলে, 40- 50 হাজার টাকার মধ্যে 100 বাচ্চা প্রতিপালন করা সম্ভব হয়, যা পাঁচ বছরে টাকা ডবল হওয়ার নিশ্চিত সম্ভাবনা। তবে অবশ্যই সঠিক ধারণা, চিকিৎসকের পরামর্শ, অভিজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী করলে তবেই!