মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা ফুটে উঠছে সীমা সেনের সূচিশিল্পকর্মে

মলয় দে নদীয়া :- মা ঠাকুমাদের কাছ থেকে কাঁথা, আসন, টেবিল ক্লথ সেলাই দেখতে দেখতেই শিখে যেতো আগেকার বাড়ির মহিলারা! নদীয়ার শান্তিপুরের সীমা সেনও শিখেছিলেন এভাবেই। উইভার্স সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত পিতা ফণিময় কাষ্ঠ হস্তচালিত তাঁতে জামদানি শাড়ি বুনে ১৯৮৯ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। বাবাকে দেখেই মূলত অনুপ্রেরণা পান সীমাদেবী। তার পরবর্তী কালে বিবাহসূত্রে আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী ললিত মোহন সেনের পরিবারভুক্ত হওয়ার কারণে, বিবাহ পরবর্তী সেলাইয়ের ইচ্ছা প্রতিভায় ভাটা পড়েনি এতোটুকু বরং শশুর শাশুড়ি অনেকটাই অনুপ্রেরণা যোগাতেন তাকে।

সংসারের বিভিন্ন দায় দায়িত্ব সামলানোর পর সময় বের করে, সুচসুতোয় ফোঁড় তোলেন, টুকরো কাপড়ে। তার কল্পনার প্রকৃতি পরিবেশ একদিকে যেমন ফুটে ওঠে সেই রকমই সমাজ অক্ষয়ের বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠে! তবে দেশবরেণ্যদের জন্ম মৃত্যু দিবসে ব্যক্তিগতশ্রদ্ধার আঙ্গিকে তার শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন হাতের কাজের মাধ্যমে। ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ,স্বামী বিবেকানন্দ, মাদারটেরেজা, গান্ধীজী আরো কত কি। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা, শিল্পী-সাহিত্যিকদের মুখের অবয়ব তৈরি করেন মাঝে মাঝেই। তবে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তার শিল্পকর্ম প্রসারিত করতে চান না সীমাদেবী, তিনি মনে করেন নির্দিষ্ট সময় শেষ করার তাগিদে এবং সুতোর রং, ফোঁড়ের ধরনের মতো বেশ কিছু বিষয়ে নিজস্বতা হারায় অর্থের বিনিময়ে।তিনি তার মৌলিক চিন্তা ভাবনায় স্বাচ্ছন্দে থাকতে চান আগামীতেও।