আত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই দিনে নদী আর এক প্রান্তে মন্ত্রী এবং অন্য প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা। স্বভাবতই পুলিশ প্রশাসন থেকে সাংবাদিক প্রত্যকের এই গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত!
আজ নদীয়ার হবিবপুর ছাতিমতলায় এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারের উদ্দেশ্যে না না কথার মাঝে স্পষ্ট জানালেন বিজেপি গো হারা হারছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে। অনেকে অবশ্য কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির টোটকা হিসেবেই দেখছেন এই উক্তিকে। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানান বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পাহারাদার আমি, আর সেই সরকার পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। সকাল সকাল নিজের বুথে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোটা এবং রাজ্যেরও কিছু কিছু পুলিশ ভোটদানে বাধা দিতে পারে। এটা ওদের দোষ নয় বিজেপির স্বভাব। তাই নিজের ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কিনা তা দেখে তবেই বেরোবেন ইভিএমের কাছ থেকে।
শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে তিনি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজারো বিজেপি নেতৃত্ব আমার রাজ্যের বিভিন্ন হোটেল বুক করে রয়েছে দীর্ঘদিন, আসলে ওরা আমাকে ভয় পায়। আমি একা সাথে রয়েছেন আপনারা নিরানব্বই মিলে হলো একশো। এনআরসি এন পি আর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামে 14 লাখ মানুষকে জেলে ঢুকিয়েছে, ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যের বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার করে চলেছে, তবে আমি এর আগে যে সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনির স্বীকৃতি দিয়েছি, এই রানাঘাটের বুকে 28 টি কলোনিতে দলিল প্রদান করেছি। আগামীতেও আপনাদের পাশে আছি, কেউ কখনো উচ্ছেদ করতে পারবে না।
“খেলা হবে?” এ প্রশ্ন করে সাথে সাথে বলেন গত দুদিন এই শব্দটি ব্যবহার করিনি , শীতলকুচি কথা ভেবে। স্বভাবসিদ্ধ ভাবে হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান সকল ধর্মের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেকে বীরপুরুষ আখ্যায়িত করেছেন তিনি! অদ্ভুত স্মৃতিতে সকল প্রার্থীর নাম তার মুখস্ত! বিধানসভা উল্লেখ করে প্রত্যেকক তৃণমূল প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে তৃতীয়বার মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা কথা বলেন তিনি। এদিনের সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে, রানাঘাট দক্ষিণ জেলার সমস্ত তৃণমূল পদপ্রার্থী কে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, সহ-সভাপতি দীপক বসু, জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ প্রায় প্রত্যেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কে।