নিউজ ডেস্ক ঃ তিনি মা মাটি মানুষের নেত্রী। তিনি জন দরদী নেত্রী। তিনি আপামর বঙ্গবাসীর “দিদি”।তার দুয়ারে প্রত্যেক দিন অভিযোগ অনুযোগের লম্বা তালিকা । সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর তিনি । তাই এবার নিজেই পৌঁছে গেলেন মানুষের দুয়ারে । কাউকে কিছু না জানিয়ে এক্কেবারে আচমকাই শান্তিনিকেতনের এক আদিবাসীর দুয়ারে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
স্থান বোলপুরের বল্লভপুরডাঙা গ্রাম। গ্রামের শেষ প্রান্তেই ছিল হেলিপ্যাড৷চেনা রুটিনে পরিকল্পনা মাত্র বীরভূম সফর থেকেই চপারে করে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা ছিল তার। সেই মতো রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই কনভয়ের রুট বদল। একেবারে আচমকাই সটান ঢুকে পড়লেন বল্লভপুর গ্রামের ভিতরে। গ্রামে ঢোকার মুখে দেখা আদিবাসী বধূর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই চাউর হয়ে গেছে “দিদি “র আসার কথা । মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরাও জানালেন তাঁদের সমস্যার কথা। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। প্রায় সাথে সাথেই অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিলেন, দ্রত সমস্যা মেটানোর। পরের গন্তব্য গ্রামের মোড়ের বাবু বাগদির দোকান। স্ত্রী মেনকার সঙ্গে মিলে দোকান চালান বাবু। পাশের দোকান চন্দনা বাগদির। হঠাৎ বাবুর দোকানে ঢুকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময় দোকানে চলছিল রান্নাবান্না। নিজেই খুন্তি হাতে নিয়ে রান্না করতে শুরু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নতুন নয়। গত লোকসভা ভোটের আগেও সাধারণ মানুষের ভিড়ে তাঁর মিশে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। অতি সম্প্রতি বাঁকুড়ার একটি আদিবাসী গ্রামেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্নগতঃ অমিত শাহ দু’বার রাজ্য সফরে এসে আদিবাসী-দলিত বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন। তবে সেটা আগেভাগে জানিয়ে এবং তা নিয়ে কটাক্ষও শুনতে হয়েছে তাকে। তবে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গ্রামসফর ছিল একেবারেই আচমকা।