বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হল ৩৩তম বিষ্ণুপুর মেলা

নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে শুরু হল ৩৩তম বিষ্ণুপুর উৎসব।এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের রাষ্ট্র মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ, বাঁকুড়া পুলিশ সুপার কটেশ্বর রাও, জেলাপরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু সহ সরকারি আধিকারিকরা।

মেলার অস্থায়ী সাংস্কৃতিক মঞ্চে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সহ ছাত্রছাত্রীরা। মেলার মঞ্চে মেলা কমিটির সচিব তথা বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত ৩৩তম মেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেন। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন ‘মুল্লরাজ ইতিহাস এবং মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর শিল্প-সংস্কৃতির পীঠস্থান। এখানে অনেক কুটীরশিল্প রয়েছে। তাছাড়া এই সময় অনেক পর্যটক বিষ্ণুপুরে বেড়াতে আসেন। সেই কুটীরশিল্প এবং পর্যটনের প্রসার ঘটাতে এই মেলার আয়োজন। ৫ দিন মেলায় জিনিসপত্র বিক্রি করে শিল্পীরা কিছু পয়সা ঘরে তুলতে পারেন। এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য আমরা সাধারণের কাছে আবেদন রাখছি যে সবাই মাস্ক ব্যবহার করুন এবং বারবার হাত স্যানিটাইজ করুন’।

রাজ্য পর্যটন, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ সহ একাধিক দফতরের সহযোগিতায় বিষ্ণুপুর হাইস্কুল এবং কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাঠে বুধবার থেকে শুরু হল পর্যটন ও কুটীরশিল্পর এই মেলা। ৫ দিনের এই মেলা চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার মাঠে জেলা হস্তশিল্পীদের জন্য একাধিক স্টল করা হয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকেও হস্তশিল্পীরা তাঁদের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর অভিনিত সিনেমার ছবি দিয়ে একটি গ্যালারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের এবং কলকাতা থেকে আসা সঙ্গীত শিল্পীদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে মেলার ৫ দিন মেলা প্রাঙ্গণে যাওয়ার সব রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ‘নো এন্ট্রি’ করা হয়েছে।