মলয় দে, নদীয়া :- যদিও এখন সব ফসলই পাওয়া যায় বারো মাস, কিন্তু এমন একটা সময় ছিলো, যখন শুধুমাত্র ফসল ওঠার পর তাকে ঘিরে বিভিন্ন মেলা, পুজোপার্বণ জাঁকজমক লেগে থাকতো। সে রকমেরই একটি ফসল তিল। তিল বাটা দিয়ে নানান সুস্বাদু রকমারি রান্না প্রস্তুত করার নজির দেখা যায় আজও, তবে তিলের নাড়ু , মোওয়া বা তিলের খাজা আজও সর্বজন সমাদৃত।
সাদা তিল, চিনি, বাদাম পেস্তা এবং ঘিয়ের সমাহারে প্রস্তুত তিলের খাজা বছরের একমাত্র এই সময়েই পাড়ার গলি থেকে রাজপথ সর্বোচ্চ বিরাজ করে আজও। তবে পার্থক্য একটাই, অতীতে বাচ্চারা বায়না করতো , আর এখন বয়স্করা তিলেরখাজা কিনে বাচ্চাদের কাছে বায়না করে খাওয়ার জন্য।
সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবারের মতনই তিলের খাজাও মকর সংক্রান্তিতে নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় বাড়ির দেব দেবীর পূজার প্রসাদ হিসেবে দেওয়ার চল প্রতিটি হিন্দু পরিবারেই। তবে তিলের মতই বিভিন্ন খাদ্যগ্রহণ সমৃদ্ধ আরেক সমগোত্রীয় বন্ধু তিসিকে আমরা ভুলতে চলেছি শুধু মাত্র কালো রঙ হওয়ার কারণে। কিন্তু প্রবীণ মানুষেরা আজও, মেথি, কুলোথ্য কলাই , তিল, তিসি , যবের কদর বুঝে খোঁজ নেন দোকানে।