নরেশ ভকত,বাঁকুড়া, ১৯ ডিসেম্বর : প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার ৩৫ বিছরের চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর কিছু অনুগামী বিদায়ী কাউন্সিলর তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই শনিবার প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিষ্ণুপুর পুরসভা প্রাঙ্গণে ৭ জন বিদায়ী কাউন্সিলর সহ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল, বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মথুর কাপড়ি ও অন্যান্য নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যেখানে তৃণমূল সরকারের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি দলের সাম্প্রতিক কর্মসূচি দুয়ারে সরকার এবং বঙ্গধ্বনি যাত্রার সাফল্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং কয়েকজন কাউন্সিলরের দল ছাড়ার বিষয়ে এক হাত নেন। দিব্যেন্দুবাবু বলেন ‘শ্যমবাবু অভিযোগ করেছেন দল তাঁকে কাজ করতে দেয়নি। কিন্তু ৩৫ বছর উনি বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু এতগুলো বছরে বিষ্ণুপুরের কোনো উন্নতি করতে পারেন নি। কাজ করার ইচ্ছা থাকলে ৩৫ বছর লাগেনা। ৩৫ মাসেই অনেক কাজ করা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের যা উন্নয়ন হয়েছে তা আগের কোনো সরকারের আমলে হয়নি। আমরা নেত্রীর সৈনিক তাই তাঁর দেখানো পথেই আমরা এককাট্টা হয়ে থাকব’।
এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে ‘আপদ’ বলে কঠাক্ষ করেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা বাঁকুড়া জেলাপরিষদের সব সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল। তিনি বলেন ‘শ্যামবাবু বিষ্ণুপুরের মানুষের আস্থা হারিয়েছেন। তাই আমরা বলছি আপদ বিদায় হয়েছে। ৩৫ বছর পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থেকে শহরের জঞ্জাল ফেলার একটা জায়গা করতে পারেন নি। অথচ দিব্যেন্দুবাবু কয়েক মাসে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শহরের ময়লা পরিস্কার করাচ্ছেন। এর আগেই উনি দল বদল করেছেন। এখন তৃণমূল দলে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে ফের দল বদল করে বিজেপিতে যাচ্ছেন’।