প্রদর্শনী প্রতিযোগিতার ফুলমেলার অনিশ্চয়তায় ফুলচাষীরা

মলয় দে, নদীয়া :- ফুলচাষীরা সারা বছর ধরে ফুল চাষের জন্য পরিশ্রম শুরু করে দেন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাটি তৈরি, বীজ থেকে চারাগাছ, অথবা মাদার প্ল্যান্ট থেকে চারা গাছ তৈরির পর থেকে প্রতিদিন সকাল সন্ধা নিয়মিত পরিচর্যা , জল, সার কীটনাশক দেওয়া হোক বা রাতের কুয়াশা থেকে বাঁচাতে চারা গাছের টব খোলা আকাশের তলা থেকে ছাউনিতে রাখা, আবার সূর্যের আলোকের প্রয়োজনে ওই টবের গাছ গুলিকে খোলা ছাদে সারাদিন রোদ খাওয়ানোর কাজে মনোনিবেশ এবং পরিশ্রম করেন।

শুধু মাত্র শীতকালীন মরশুমী ফুলই নয় , ছাদের উপর বিভিন্ন ক্যাকটাস, গরমকাল, বর্ষাকালে ফোটা নানান রকম টব, বনসাই, মিলে দু আড়াইশো থেকে পাঁচ সাতশো পর্যন্ত টবের নিয়মিত পরিচর্যায় আর্থিক উপার্জনের মূল পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকটাই।অথচ তার থেকে সে রকম করে অর্থ জোগাড় হয় না , এমনকি প্রতিযোগিতা প্রদর্শনীতে নিয়ে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত পান না তারা। তবে দর্শকদের চাক্ষুষ হওয়ার পর “বাহঃ খুব সুন্দর” “অসাধারণ” এইরকম দু-একটি শব্দই খুশি তারা। এমনকি অন্যের কষ্টসাধিত ফুলের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস দিলেও রাগ হয়না তাদের বরং গর্ব বোধ করেন তারা।

করোনা নামক অদৃশ্য স্বার্থপর দৈত্য সারা বছরের সব আনন্দ মাটি করার পর, শীতকালীন ফুল মেলায়ও হয়তো থাবা বসাতে চলেছে। বিষন্ন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ফুলচাষীরা জানান, অন্যান্য বছর তাদের আগাম জানান দেন বিভিন্ন আয়োজক ফুল মেলা কমিটি। এবছর বাতিল হচ্ছে অনেক মেলাই, দু একটি সংস্থা ছোট করে আয়োজনের ব্যবস্থার ইঙ্গিত পেলেও দর্শকের সংখ্যা থাকবে খুবই কম এমনটাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ফুলচাষীরা। জেলার মধ্যে রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী ফুল মেলা জেলার বাইরে খড়দা, কলকাতা, বিধান নগর মেলার আমন্ত্রণ এখনো তারা পাননি, তাই আশাহত তারা।