নদীয়ার শান্তিপুরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও, চিকিৎসায় হয়রানির শিকার নাবালিকা

মলয় দে নদীয়া :- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে যখন বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা বলছে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা করাতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হলেন এক নাবালিকা ছাত্রী সহ তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভা এলাকায়।

সূত্রের খবর নদীয়া শান্তিপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের দত্ত পাড়ার নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসিন্দা ভরত দাস ভ্যানচালক। সপ্তম শ্রেণীর নাবালিকা মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক সূত্রের খবর ওই নাবালিকার মাথায় টিউমার রয়েছে। সেই কারণে চিকিৎসকরা তাকে গত এক মাস আগে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।সেই মত তার পরিবারের লোকজন অসুস্থ নাবালিকা ছাত্রীকে নিয়ে কলকাতা হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরিবারের অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরে কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে তাকে ভর্তি করাতে পারেনি। অভিযোগ প্রতিটি হাসপাতাল অন্য হাসপাতালের কথা বলে দায় সেরেছে।

বর্তমানে সে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, খাদ্য গ্রহণ এবং মলমূত্র ত্যাগ করা বন্ধ হয়ে গেছে ওই নাবালিকার। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই নাবালিকা ছাত্রীটি। অভিযোগ উঠেছে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি সবাই বারবার চিকিৎসা নিয়ে সরব হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বিনিময়ে বিনা পয়সায় চিকিৎসার কথা বলছেন, সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন হয়রানি হতে হচ্ছে।