নদীয়ার শান্তিপুরে বঙ্গধ্বনি যাত্রাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছাপ

মলয় দে, নদীয়া :- বঙ্গ ধনী যাত্রার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিগত দশ বছরের ভূমিকার রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে। দলীয় নির্দেশে বিভিন্ন জন প্রতিনিধি , দলীয় এবং গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে।

সেই অনুষ্ঠান নদীয়া শান্তিপুরের সর্বত্র পালন করা হলেও সকলকে একসাথে চোখে পড়ছে না কখনো। এর আগেও বিধায়কের বঙ্গধ্বনি যাত্রা শান্তিপুর ডাকঘরে অনুষ্ঠিত হলেও শহরের কোনো প্রাক্তন কাউন্সিলার বা পৌর প্রশাসককে দেখা যায়নি, দেখা যায়নি জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ও। কিছুদিন আগে শান্তিপুর ডাকঘরে পৌর প্রশাসক এর উদ্যোগে বঙ্গধ্বনি যাত্রায় জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দীপক বসু উপস্থিত থাকলেও বিধায়ক বা নদীয়া জেলা সভাধিপতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তারও বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে একসঙ্গে সকল নেতাদের উপস্থিতি চোখে পরে নি অনেকেরই। আজ বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের কালিপুর কালী মন্দির থেকে বন্ধনী যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয় দিব্যডাঙ্গায় , সুবিশাল এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, সহ সভাপতি সুব্রত সরকার, বেলঘড়িয়া দু নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান দীপক মন্ডল, নদীয়া জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। এখানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গেল না, প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বেলঘড়িয়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, বিধায়ক, এবং বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে।

তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী দ্বন্ধ যেন বার বার সামনে চলে আসছে।