শান্তিপুর শহরে, এর আগেও একাধিকবার ফ্লেক্স ব্যানার পোস্টার নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিলো বিভিন্ন দলে।
গতকাল বিকাল, এবং আজ সকালে শান্তিপুর শহরের 24 নম্বর ওয়ার্ডের মাহাতো পাড়ার কিছু রাস্তার পাশে একাধিক কাগজের কম্পিউটার প্রিন্ট পোস্টার ইতস্তত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় অধিবাসীরা। অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মুখ খুলতে চাননি তারা। কোন জায়গায় কাগজ ভাঁজ করে কোন জায়গায় বা এ ফোর সাইজের কালো কালি দিয়ে প্রিন্ট করা এ ধরনের প্রস্তাবগুলি পথের পাশে, পড়ে থাকতে দেখা যায় আজ সকালেও। তাতে লেখা শান্তিপুর পৌরসভার মহাশ্মশান বর্ধিত করার কারণে জমি কেনাবেচার প্রতারণা এবং কাট মানি নেওয়ার অভিযোগ, প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যাম সাহা এবং পৌর প্রশাসক অজয় দেব বিরুদ্ধে। ওই লেখা অনুযায়ী জানা যায়, শান্তিপুর পৌরসভা কর্তৃক স্থানীয় ওই জমির মালিক সুব্রত প্রামানিকের কাছ থেকে আর এস 1933 খতিয়ান 1421 দাগের 43 শতক জায়গা কিছুদিন আগে পৌরসভা ক্রয় করেছে, এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকায়। অথচ উক্ত জায়গার পৌরসভার ভ্যালুয়েশন 18 লক্ষ 73 হাজার 200 টাকা। মাঝে প্রায় 17 লক্ষ টাকা প্রতারণা এবং কাটমানি নেন , সরকারের মধ্যস্থ করা, প্রশাসক এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর।
যদিও এ বিষয়ে শ্যাম সাহা জানান, অতীতে বামপন্থীরা মাওবাদী অভিযোগে আমাকে একাধিকবার বিব্রত করেছে’, কিছুদিন আগেও এ ধরনের পোস্টার ছড়িয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, সর্বোপরি শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান প্রার্থী অজয় দে হওয়ার কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে কাজ করছে। অতীতে যারা বামপন্থী ছিল আজ তারাই বিজেপি, তাই এ ধরনের মিথ্যা চক্রান্ত করে আমার এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বিজেপি শহর মন্ডল একের সভাপতি বিপ্লব জানান, মাঝেমাঝেই পৌরসভার কাউন্সিলরদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে, তাও সেটা তাদের টাকা ভাগ নিয়ে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই। ভারতীয় জনতা পার্টি এ ধরনের কোন গোপন কাজ করে না। প্রকাশ্য দলীয় মিটিং কর্মসূচিতে আমরা বলে থাকি।