মলয় দে, নদীয়া:- বছরের প্রথম দিন থেকেই মুখে আগুন লাগাতে লাইনে দাঁড়িয়ে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা, আর জলে আগুন লাগানোর জন্য তৈরি ফুচকা বিক্রেতা সন্তু।
অঞ্চল ভেদের উপর ভিত্তি করে ফুচকার উপকরণে আলু, সবজি, স্যালাড, ঘুগনি, দই ব্যবহৃত দেখা হতে দেখা যায় পুর হিসেবে। আবার তেঁতুল জলের পরিবর্তে ধনিয়া পাতার চাটনি, পুদিনা মিশ্রিত জল, মিষ্টি খেজুর জল লেবুর জলে ডুবিয়ে পরিবেশন করতে দেখা যায়। তবে যতো ভিন্ন স্বাদেরই থাকুক না কেনো , এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নতুনত্বের কদর করে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পানের মধ্যে আগুন ধরিয়ে মুখে ঢোকানোর, ব্যবস্থা থাকলে ফুচকার মধ্যে নয় কেনো ?
নদীয়া শান্তিপুর শহরের স্টেডিয়ামপাড়া বাসিন্দা সন্তু মন্ডল, সদ্য স্নাতক হওয়ার পরই, পিতৃহারা হয়। ওপেন ইউনিভার্সিটি তে মাস্টার ডিগ্রী পড়ার সাথেই, সংসারের হাল ধরতে বাবার বহু পুরনো ফুচকার ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছে। বাবার সাবেকি ব্যবসার হাল ফেরাতে নতুনত্ব আনে সে ফুচকাতে, নাম তার আগুন ফুচকা, নিত্যনতুন স্বাদে খরিদ্দার আকৃষ্ট করতে তার এই প্রয়াস। এবং তাদের মাধ্যমেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে সক্ষম হয়েছে শুধুমাত্র সুসম্পর্কের ফলে। শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠের পাশে সন্তুর সন্ধ্যাকালীন ফুচকা খেতে, ভিড় পরে বিকাল থেকেই! তবে সন্তুর বন্ধু-বান্ধবীরা অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার করে। সন্তুর আগামী আকর্ষণ থাকছে মিনি ফুচকা, সে জানায় ছোটদের জন্য চকলেট, ভ্যানিলা, বিভিন্ন ফ্রুটস ফ্লেভার ফুচকার ব্যবস্থা থাকলেও, আকারে তাদের মুখের থেকে অত্যন্ত বড় হওয়ায়, অসুবিধার সম্মুখীন হয় অনেকেই, তাই মিনি ফুচকা মিলবে শীঘ্রই।