অরবিন্দ মন্ডল, রামপুরহাট :- রামপুরহাট পৌরসভা রাজ্যের নজর কেড়েছে ‘দুয়ারের সরকার’ প্রকল্পে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্পে আবেদন করতে আসেন বৃহন্নলারা। তারপরেই তাদের বাড়িতে হাজির হয় রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন এবং পৌরসভা এর কর্তাব্যক্তিরা। তাদের অভাব অভিযোগ শুনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের কয়েকজনের মানবিক শংসাপত্র এবং মহকুমা প্রশাসনের রিলিফ ফান্ড থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়, এবং সেদিনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে শুরু করে সমস্ত রকম সরকারি পরিষেবা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ।সেইমতো বৃহন্নলা পরিবারের সকল সদস্যদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করা হয়েছে খাদ্য সাথীর আওতায় রেশন কার্ডের কুপন দেওয়া হয়েছে এবং আরও যারা বাকি ছিলেন তাদের মানবিক শংসাপত্র ও মানবিক পেনশন চালু করা হয়েছে। শনিবার রামপুরহাটের এই বৃহন্নলা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন দুয়ারের সরকারের স্টেট নোডাল অফিসার রশমি সেন। তিনি এসে রামপুরহাটের বৃহন্নলা পরিবারের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এবং মানবিক শংসাপত্র তুলে দেন পাশাপাশি তিনি তাদের আরও অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন।
আগামী দিনে সেই সমস্ত অভাব-অভিযোগ পূরণ করা হবে বলেও জানান। সেইমতো রামপুরহাট মহকুমা শাসককেও নির্দেশ দেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ট্রান্সজেন্ডারদের সমস্ত রকম পরিষেবা দিতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ রামপুরহাটে এসেছেন তিনি । বৃহন্নলা পরিবারের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড খাদ্য সাথী কার্ড এবং মানবিক শংসাপত্র তুলে দেন পাশাপাশি তাদের আরো কি কি প্রয়োজন সে ব্যাপারেও নথি সংগ্রহ করেন এবং রামপুরহাটের সংশোধনাগারে যে সমস্ত কয়েদীরা রয়েছে সেই নয় কয়েদিদের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন স্টেট নোডাল অফিসার রশমি সেন। রামপুরহাটের বৃহন্নলা পরিবারের প্রধান আনারকলি জানান সরকারের কাছ থেকে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে তারা ভীষণ খুশি। পাশাপাশি তারা দাবি জানিয়েছেন যাতে রাজ্যের সমস্ত বৃহন্নলারা সরকারের তরফ থেকে কোন মাসিক ভাতা পান সেই ব্যবস্থা করার।