গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে, জোটের প্রার্থী সংকর সিংহ কে জিপিএ নিয়ে এসেছিলেন সিপিআইএম ও সংগঠনগুলি। যার মধ্যে ছাত্র-যুবর ভূমিকা ছিলো অন্যতম। বহু পূর্বে কংগ্রেসের হাতে অত্যাচারিত পরিবারকেও জোটের প্রার্থী সংকর সিংহ কে ভোট দেওয়ার জন্য বুঝিয়েছিলেন ছাত্র-যুব। অথচ নির্বাচনের ফল ঘোষণার কিছুদিন বাদে, ব্যক্তিস্বার্থে যোগদান করলেন তৃণমূলে। এ বছরে আবারো একই ভুল করতে রাজি নন তারা, হয়তো জোটের বিরুদ্ধাচারণ হচ্ছে তবুও, আগামীতে সংকর সিংহ কোনমতেই জেতাতে চান না তারা! তারা অনুমান করছেন আগামীতে কংগ্রেসের প্রার্থীও বিক্রি হবে শংকর সিং এর কাছে। তার মস্তান বাহিনী রুখতে পারবে একমাত্র বামপন্থী ছাত্র যুবরা। গতকাল রানাঘাটে প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে বেশকিছু ছাত্র-যুব স্লোগানের মাঝে উঠে আসলো এমনই কথা, জানালেন রানাঘাট ডিওয়াইএফআই কমিটির সভাপতি দেবাশীষ মুখার্জী। এসএফআইয়ের সম্পাদক জ্যোতি পাল জানান, অতীতে গীতাঞ্জলি হলে সংকর সিংহ যেতারর কারনে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমাদের, তখনই তিনি জানতেন তৃণমূলে যোগদান করবেন। আবারো এই ঝুঁকি নিতে রাজি নই আমরা।
তারা একটি প্রেস রিলিজ করেছেন যাতে লেখা আছে, আগামী 24 ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদল না হলে, ছাত্র এবং যুবর পদ এবং সিপিআইএম দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তারা। রানাঘাট এসএফআই লোকাল কমিটির সম্পাদক জ্যোতিপাল, সভাপতি শুভঙ্কর বসু, ডিওয়াইএফআই সম্পাদক দেবাশীষ মুখার্জী, সভাপতি সুভাষ রায়ের পক্ষ থেকে এই প্রেস রিলিজ সকল সাংবাদিকের কাছে দেওয়া হয় ওই দুটি ছাত্র এবং যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে। যদিও এ বিষয়ে কংগ্রেসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।