তৃণমূলের অন্দরে তরজা পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন নিয়ে

মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা :- গত বুধবার মালদার রতুয়া-১ ব্লকের সামসী পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিত হওয়া ও পরবর্তীতে নতুন তারিখ ঘোষণায় তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। উপসমিতি গঠন না হওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ফজলুল হক ও জেলা তৃণমূলের দুই নেতা হেসামুদ্দিন ও আবদুল হামেদ নিজেদের দলের বিধায়ক সমর মুখার্জিকে দায়ী করেছিলেন। যদিও বিধায়ক এ ব্যাপারে জানান, কোথায় কি হচ্ছে না জেনে আমাকে দায়ী করা ঠিক হয়নি।

এবার পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন অপসারিত পঞ্চায়েত সদস্য নবকুমার মন্ডল। তিনি দলীয় নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা তৃণমূলের প্রতীকে জিতে দলের অপর সদস্য শ্রবণ কুমার দাসকে প্রধান পদে বসিয়েছিলাম। নভেম্বর মাস পর্যন্ত আমরা পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজে আমরা সহযোগিতা করেছি। অথচ এখন প্রধান সাহেব, কংগ্রেসের বিরোধী নেত্রী ও বিজেপির সহযোগিতায় আমাদের অপসারণ করে নতুন করে সঞ্চালক গড়তে চাইছেন। বিষয়টি দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দলীয় নেতৃত্ব না দেখলে জনমানসে এর খারাপ প্রভাব পড়বে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা সামসীর ভূমিপুত্র ও তৃণমূল নেতা মুশারফ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিষয়টি তার নজরে থাকলেও এব্যাপারে তিনি কোন কথা বলবেন না বলে এড়িয়ে যান।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়িটি আসনের ১২টি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি আটটি আসনের পাঁচটিতে কংগ্রেস ও তিনটিতে বিজেপি জয়লাভ করে।পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন সদস্য তৃণমূলের হওয়ায় তারা ওই পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতির সদস্য। বিজেপির একজন সদস্য মারা যাওয়ায় তাদের সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে দুই। কিন্তু সামসী অঞ্চলের প্রধান স্বজনপোষণ ও নিজের মর্জি মাফিক বোর্ড পরিচালনা করার জন্য কংগ্রেসের দলনেত্রী সহ বিজেপির দুই সদস্যের সহায়তায় বিডিওর কাছে তার নিজের দলের চারজন সঞ্চালকের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে গত ২৩ শে নভেম্বর। যদিও প্রধান শ্রবনকুমার দাস নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনেই অনাস্থা ডাকা হয়েছিল।