ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ব্যর্থ অসহায় বাবা

মহম্মদ নাজিম আক্তার,মালদা :- লকডাউনের জেরে সংসারে নেমে এসেছে চরম অনটন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার এক ক্যানসার আক্রান্ত শিশু। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুর নাম শুভ দাস(৩)। দিনরাত প্রবল কষ্ট পেলেও তার বাবা ও মায়ের পক্ষে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর উপায় ছিল না। গ্রামবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে ফ্রিতে চিকিৎসা চললেও ওষুধের খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবার।কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি পিপলার এই পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে ছেলেকে বাঁচাতে পারবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন শুভর পরিবার।

বিষ্ণু ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে যোগানদারের কাজ করেন। প্রায় একমাস ধরে ছেলের চিকিৎসা করানোর আশায় বাড়িতে বসে রয়েছে। ছেলে শুভ প্রায় তিন মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত।প্রাথমিক ভাবে মালদা, হরিশ্চন্দ্রপুর,চাঁচল,কাটিয়ার ও রায়গঞ্জে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা করানো হলেও ডাক্তারবাবুরা তাকে রেডিয়েশন থেরাপির পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, দ্রুত অপারেশন করার পরামর্শ দেন।অপারেশন করতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে।অন্যান্য খরচও রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা লাগবে।এতো টাকা অন্যান্য আত্মীয়দের পক্ষেও সাহায্য করা সম্ভব নয়। ফ্রিতে চিকিৎসা ‌চললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার ওষুধের খরচ কীভাবে জোগাড় হবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না। তাই মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করছে।

বিষ্ণু দাস জানান তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে এবং স্বামী-স্ত্রী ও‌ বৃদ্ধ বাবা-মা সহ মোট ছয় জনকে নিয়ে অভাবের পরিবার। প্রায় তিন মাস আগে ছেলে বাড়ির কাছেই এক পুকুরে পড়ে যায় আর তার কানে জল ঢুকে যায়। ডান কানে ঘা হয়। ছোট্ট একটি ঘা থেকে মারনরোগ ক্যানসারে পরিনত হয়েছে বলে জানান।চিকিৎসকরা একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে জানিয়ে দেন যে অপারেশন করা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই। সঞ্চিত অর্থ চিকিৎসা করে‌ প্রায়‌‌ সব‌ শেষ হয়ে গেছে।তাই চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা চললেও ওষুধের জন্য বিপুল খরচ যোগান দেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান এই করোনা আবহের মধ্যে বিভিন্ন মানুষের কাছে হাত পাতলে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এলাকার নেতাদের বলেও কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না বলেই তার অভিযোগ।