মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা,১৮ ডিসেম্বর : বিতর্ক যেন তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না। সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে বারবার।শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল এ যে একটা বড়ো ভাঙ্গন ধরতে চলেছে তা প্রায় স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পরেই মালদা জেলা তৃণমূলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। একের পর এক পঞ্চায়েত সদস্য,ব্লক এবং অঞ্চল নেতারা পদত্যাগ করছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন হরিশ্চন্দ্রপুর এর তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। আর এই আবহেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের ছাত্র এবং যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড় এলাকা। আহত দুই ছাত্র নেতা।অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দূর্জয় দাস এবং আরোও কয়েজন যুব নেতা এবং কর্মী; ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানের নাম করে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাঁদা তোলাকে নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি।
সূত্রের খবর, রাহাত আসগর নামে এক যুব তৃণমূল নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানের নাম করে চাঁদা তুলে। যার প্রতিবাদ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রণব দাস এবং শেখ ছোটন।আর সেখান থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়, অভিযোগ তারপরেই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্জয় দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন যুব তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ওই দুই ছাত্র নেতাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এ আসে।যদিও এখনো পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন যুব এবং ছাত্র তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে অন্যদিকে যুব তৃণমূলের অন্দরের সংঘাতও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় এখনো যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। যাকে নিয়ে এতো অভিযোগ সেই দুর্জয় দাস সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।আক্রান্ত ছাত্র নেতা শেখ ছোটন বলেন, “আমাদের ছাত্র পরিষদের নাম করে শেখ আসগর টাকা তুলছিল।তার প্রতিবাদ করাতে দুর্জয় দাস ও তার দলবল আমাদের মারধর করে।দল এর সঠিক বিচার করবে আশা রাখি।”
এদিকে দুর্জয় দাস বলেছেন,”মারধর এবং হুমকির সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অনুষ্ঠান আছে তাই চাঁদা তোলা হচ্ছিল।” পাল্টা তিনি সভাপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন। ”
গোষ্ঠীকোন্দল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক তরজা সব মিলে সরগরম হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনীতি।