ক্রমাগত বাড়ছে বাড়িতে কেক বানানো প্রবণতা! স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন গৃহিণীরা

মলয় দে, নদীয়া :- এককালে মা ঠাকুমার বলতেন, হাতের কাজ শিখে রাখতে হয় সব মেয়েদেরই। সে সময় শেখানো হতো উল কাটা অথবা কুরুশ কাটা দিয়ে নানান গৃহস্থলীর ঘর সাজানোর উপকরণ, পোশাক বানানো, বা পরিধানের জামাকাপড় কাঁথা সেলাই, ঢেঁকিতে ধান ভাঙ্গা, বাঁচাতে ডাল ভাঙ্গা বড়ি দেওয়ার মত নানান কাজ। তাঁতে পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে উপকার পেয়েছেন বাড়ির মেয়েরা, সেই সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন পরিবারের।

সময় বদলেছে, হাতের কাজ আজও শেখে মেয়েরা! তবে ধরন পাল্টেছে কালের নিয়মে। গৃহস্থলীর কাজকর্ম সেরে ঘর সাজানো, বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে মহিলাদের সাজানো, কেক বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য বানানোর মতো বেশ কিছু বিষয় রীতিমতো পড়াশোনা করে চাকরি বা স্বনির্ভর ও তার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অর্থ উপার্জন করছেন তারা। সামনেই বড়দিন, নদীয়ার শান্তিপুরের এমনই বেশকিছু গৃহবধূ, কন্যার সন্ধান পেলাম আমরা, যারা শুধুমাত্র সারাবছর কেক বানিয়েই শুধু তার পরিবার নয়, এর সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু পরিবারের দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে সক্ষম তারা।