কেজি দরে বেচে দেওয়া বই সংগ্রহ করে আস্ত একটা একটা লাইব্রেরী তৈরি হয়ে গেছে ভাতজাংলা মলয়ের টিনের ঘরে

বইকে ভালবেসে আজও পথ চেয়ে বসে ভাল উপার্জনের সন্ধানে নদিয়ার ভাতজাংলার কালীপুরের বাসিন্দা মলয় বসাক, অন্যের কাছ থেকে চেয়েচিন্তে অথবা লাইব্রেরির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়াশোনা করত ছোটবেলা থেকেই। লাইব্রেরিয়ানের তাগাদায়,তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে ফেরত দিয়ে আসতে হতো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। অত্যন্ত ভালোবাসার এই বিষয়টি তার কাছে থাকত না বেশিক্ষণ সেই, দুঃখেই হয়তো বই লোভী হয়ে পড়েছিল সে।আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মলয় বর্তমানে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা এবং তার দরিদ্র পরিবারের সংসারখরচ চালান টিউশন করেই। তবে তার থেকে কিছুটা পুরনো বই কিনতে নিয়মিত খরচ করে সে। পরিত্যক্ত লোহা প্লাস্টিক ভাঙ্গা বিভিন্ন আবর্জনার মধ্যে উঁকি দেওয়া বই তাকে থেকে হাতছানি দেয়। এভাবেই বই সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২ হাজার বই সংগ্রহ করে ফেলেছেন!তবে তার আক্ষেপ সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা মিটলে ভবিষ্যতে একটা ঘর তৈরি করে তাতে সব বই সংরক্ষন করবেন। যা থেকে তার মতন অভাবী পরিবারের বই পিপাসুরা কিছুটা হলেও তেষ্টা মেটাতে পারে! তবে এখনও তাঁর চোখে ভাসে তার এক বিদ্যালয় শিক্ষকের সাজানো-গোছানো আলমারিতে সারিবদ্ধ বই! সে আশাবাদী একদিন সে স্বনির্ভর হবেই , একটু স্বচ্ছলতা ফিরলেই এ ধরনের একটি লাইব্রেরী ঘর বানাবেন তিনি, তাতে যদি বসতঘর না হয় তাতেও অসুবিধা নেই, তবে লাইব্রেরী অবশ্যই চাই। সে স্বপ্ন দেখে লাইব্রেরির! চোখ বুজলে গন্ধ পায় পুরনো বইয়ের! এককথায় ভাতজাংলার মলয় সে বইকে ভালবেসে ফেলেছে সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসাবে। সকলের উদ্দেশ্যে জানায় বই পড়া সকলের প্রয়োজন। জ্ঞান বাড়ানোর সাথে সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা পাওয়া যায় বইয়ে, অবসাদ কাটিয়ে জীবনের অনুপ্রেরণা যোগায় বই! তবে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা একবার ঘরের বাইরে বের হলে, ফেরা বেশ কষ্টসাধ্য