করোনা কাঁটায় বিদ্ধ নতুন বছরের গ্রিটিংস,ক্যালেন্ডার,ডাইরির উন্মাদনা

মলয় দে, নদীয়া :- নতুন বছরে প্রিয়জনকে গ্রিটিংস কার্ড ডাকযোগে পাঠানোর রেওয়াজ ইতিহাস হয়েছিলো অনেক আগেই। তবে হাতে হাতে দেওয়াও এবছর ম্লান হয়েছে অনেকটাই। সারা বছর মুনাফা লাভ করা ক্রেতাদের খুশি রাখতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সংস্থার পক্ষ থেকে ডায়েরি উপহার দেওয়ার প্রবণতা কমেছে বেশ খানিকটা। এমনকি স্বল্প দামের ক্যালেন্ডারও অর্ডার দিয়ে ও মিলছেনা জেলার বিভিন্ন দোকানে।

এ ব্যাপারে দোকানিদের বক্তব্য ক্যালেন্ডারের বেশ কয়েক প্রকার অল্প দামের কাগজ এবং অন্যান্য উপকরণ আসতো চীন থেকে, আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ফলে একচেটিয়া দখল নেওয়া কম দামের ক্যালেন্ডার এই মুহূর্তে প্রায় দুষ্প্রাপ্য। বাংলা ক্যালেন্ডারে ব্যবহৃত কাগজ পেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি তাদের, তাই পয়লা বৈশাখে, আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও দীর্ঘদিন লকডাউনে বন্ধ থাকা ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহে নষ্ট হয়েছে সেগুলি। ফার্স্ট জানুয়ারি হিসাবে ক্যালেন্ডার প্রস্তুতকারকরা আগাম ব্যবস্থা নেননি কিছু। অন্তিম লগ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্যালেন্ডারের অর্ডার দিতে আসা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে ক্যালেন্ডার প্রস্তুতকারক দোকান থেকে।

নদীয়ার রানাঘাট, কৃষ্ণনগরে এ ধরনের দু-একটি দোকানের উপর নির্ভর করেই চলে সারা জেলা। স্বভাবতই জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অথবা শহরের ছাপাখানা গুলি থেকে ফিরে আসার ফলে ক্যালেন্ডার দেওয়ার প্রথাও এবছর কিছুটা ম্লান হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে ডাইরি খুব বেশি বিক্রি না হলেও, ধারাবাহিকতায় ঘাটতি পারেনি এতোটুকু। আর গ্রিটিংস কার্ডের চল উঠে গিয়ে, জায়গা করে নিয়েছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ , ইনস্টাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়ার মতো বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুভেচ্ছা পাঠানোর সাথে সাথে, রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা বা বিগত বছরের করোনা প্রাদুর্ভাব থেকে, মুক্তি পাওয়ার শুভকামনা।