নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ কিছুতেই মিটছে না তৃণমূলের অন্তরকলহ। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারি!
শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শীলভদ্র দত্তর পর এবার অন্য সুর পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার বিদায়ী মেয়র ও বর্তমান পুরপ্রশাসকের গলায়! দলের বিরুদ্ধে রাজনীতির জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিতে না দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ করেছেন তিনি! ফলে নির্দ্বিধায় অস্বস্তি বাড়ল শাসক দলের। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আসানসোল পুরসভাকে নিতে দেওয়া হয়নি।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পে মনোনীত করেছিল আসানসোলকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২ হাজার কোটি টাকা নিতে পারেনি আসানসোল পুরসভা। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই ওই প্রকল্পের সুবিধা নিতে দেওয়া হয়নি আসানসোল পুরসভাকে। তাঁর অভিযোগ, পুরমন্ত্রী রাজ্য সরকারের তরফে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রাখা হয়নি।
সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পেও কেন্দ্রের থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা আসানসোল পুরসভাকে নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, পুরমন্ত্রী এবং পুর দফতর কেন্দ্রের ওই টাকা তাঁদের নিতে দেয়নি। পুর দফতরে একাধিক প্রকল্প জমা দেওয়া হলেও তার অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আসানসোলের পুর প্রশাসকের।
তিনি চিঠিতে আর্জি জানিয়েছেন, আসানসোল পুরসভাকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। শুধু এই চিঠি পাঠানোই নয়, রানিগঞ্জ গালর্স কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র। যদিও চিঠিতে কারণ হিসেবে তিনি দেখান, নিজের রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পেও কেন্দ্রের থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা আসানসোল পুরসভাকে নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, পুরমন্ত্রী এবং পুর দফতর কেন্দ্রের ওই টাকা তাঁদের নিতে দেয়নি। পুর দফতরে একাধিক প্রকল্প জমা দেওয়া হলেও তার অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আসানসোলের পুর প্রশাসকের।
তিনি চিঠিতে আর্জি জানিয়েছেন, আসানসোল পুরসভাকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। শুধু এই চিঠি পাঠানোই নয়, রানিগঞ্জ গালর্স কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র। যদিও চিঠিতে কারণ হিসেবে তিনি দেখান, নিজের রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত, আগেভাগে চিঠি দেওয়াটা অত্যন্ত অন্যায়। বিজেপি হয়তো ওকে ভুল বোঝাচ্ছে।’উত্তর দিয়েছেন জিতেন্দ্রও। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, আমার সঙ্গে নয়। উনি যতটা মমতাকে ভালবাসেন, আমিও ঠিক ততটাই বাসি।’ এরইমধ্যে জানা গেছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ফোন করেছেন ফিরহাদ হাকিম। কাল সন্ধে ৬ ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠক।বৈঠকে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।