মহম্মদ নাজিম আক্তার,মালদা :- সাধারণত কাটমানি ইস্যুতে বহুবার শাসক দলের নাম উঠে এসেছে।বিরোধীরা বারবার এই নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতেও ছাড়ে না। বিজেপির কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব সকলেই বারবার ইদানিং তৃণমূলকে কাটমানির সরকার বলে থাকেন। কিন্তু এবার সেই কাটমানি কাণ্ডে জড়িয়ে গেল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের নাম। অভিযোগ বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্য তার বুথেরই এক বাসিন্দাকে ভুল বুঝিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য কাটমানি নিয়েছেন। এই মর্মে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বাসিন্দা। এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য। আর বিজেপির জেলা সম্পাদকের আশঙ্কা এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা।
অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম লালু ওঁরাও। তিনি মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর 1 নং ব্লকের অন্তর্গত হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য।যে পঞ্চায়েত এই মুহূর্তে তৃণমূলের দখলে রয়েছে।অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতেরই গড়গড়ি এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভুল বুঝিয়ে ২০ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছেন লালু ওঁরাও।এই মর্মে প্রশাসনের কাছে লালু ওঁরাও এর নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উর্মিলা ওরাও। অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন তাকে ভুল বুঝিয়ে কুড়ি হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল।এমনকি টাকা না দিলে ঘর পাবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু।