বিজেপির ঘরেই নাকি লুকিয়ে ভুয়ো ভোটার! অন্যদিকে সরকারি BLO প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান,
শান্তিপুর নৃসিংহপুরে, বিজেপি তৃণমূল কাজিয়া
মলয় দে নদীয়া :-
দ্বৈত ভোট রোহিঙ্গা এবং মৃত ভোট পুষে রাখা অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতার পার্টি SIR এরপক্ষে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে। আর এইবার সেই BJP র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার বিরুদ্ধেই শাসক দলের অভিযোগ বাংলাদেশী এবং দীর্ঘদিন এদেশে বসবাস না করা ভোট পুষে রাখার।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের নৃসিংহ পুর গ্রামে সেখানকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা সুপর্ণা হালদার বর্মনের ভাসুর কালাচাঁদ হালদার এবং তার স্ত্রী অপর্না হালদারের এন্যুমারেশন ফর্ম নিয়ে চাঞ্চল্য।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের বীরেন মাহাতোর দাবি, দীর্ঘদিন সেখানে না থাকা সত্ত্বেও এই দুজন সহ আরো দুটি পরিবারের চারটি অর্থাৎ মোট ছটি ভোট পূর্বের মতন তালিকায় বহাল রাখার জন্য সরকারি BLO কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেন নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের পক্ষ থেকে অন্য পরিবার সদস্য ফরম নিলেও তারাই টিপছাপ দিয়ে জমা করেছেন, শোনা গেছে এদের মধ্যে দুজন তড়িঘড়ি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তবে আগামীতে হিয়ারিংয়ে কয়েকজন সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বাকিদের দ্বৈত ভোটারের প্রমাণ মিলবে বলেই তার অনুমান আর তখনই স্কুটিনিতে নাম বাদ দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও সরকারি BLO শোভা সরকার জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী ফরম পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছে তাদের পূরণ করা ফর্ম জমা পড়বে তবে বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো রয়েছে এক্ষেত্রে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। তবে অনেকের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার জানা ছিল না তাই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং সমিতির সদস্যকে জানতে চাইলে তারা কেউ স্বীকার করেন বাংলাদেশে কেউবা বলেন দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ।
স্থানীয় হরিপুর পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা বিজেপির সদানন্দ হালদার অবশ্য এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সরকারি BLO নিজেই তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তাই বিজেপির দোষ খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এলাকায় আরো বেশ কিছু ভোটারদের অসঙ্গতি পূর্ণ তথ্য রয়েছে সেগুলো ঠিক করুক, আজ তাদের অপমান্যতার জন্যই এত মৃত ভোটার লুকিয়ে ছিল ভোটার লিস্টে। সবথেকে বড় কথা বাংলাদেশ থেকে যে ই আসুক না কেন হিন্দু হলে শরণার্থী তাদের নাম উঠবেই।
বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা সুপর্ণা হালদার বর্মন অবশ্য নিজের ভাসুর এবং জায়ের দীর্ঘদিন না থাকার কথা স্বীকার করে নেন তবে তারা ব্যবসায়িক কারণে এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যদি উপযুক্ত প্রমাণ না পায় তাহলে নাম কেটে দেওয়া দেবে। কিন্তু কোন ভাবেই তা রাখার জন্য BLO কে অনুরোধ জানানো হয়নি। বরং সরকারি B LO নয় তার তৃণমূল স্বামী ফরম দিয়ে গেছে বাড়িতে। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান কখনো সরকারি নিরপেক্ষ লোক হতে পারে না।
এলাকার অপর এক পরিবারে দুর্গা রাজবংশী এবং তার স্বামী যতীন রাজবংশীর সদ্য বাংলাদেশ থেকে আসা প্রসঙ্গে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বললেন তারা নিজেরাই। জানান বয়সজনিত কারণে কলকাতায় চিকিৎসার কারণে এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই থাকেন তাই অনেকে সন্দেহ করছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফর্মে সকল তথ্য সহ প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।



