হুইট ব্লাস্ট রোগের কারণে বাংলাদেশ সংলগ্ন নদিয়া মুর্শিদাবাদ ক্রমশই বিলুপ্তির পথে গম চাষ!

গোটা বিশ্বে গম উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ভারত বর্ষ। যার মধ্যে পাঞ্জাব উত্তর প্রদেশ মধ্যপ্রদেশে অধিকাংশ চাষ হয়ে থাকে। তবে 2017 সালে হুইট ব্লাস্ট রোগের কারণে, বিঘার
পর বিঘা জমিতে চাষ করা ফলন্ত গম আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, সংক্রমণের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের গম চাষ কে বাঁচাতে। সেই থেকে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন এই চাষ, ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে গম চাষ। তবে সীমান্তদূরবর্তী এলাকায় ইতস্তত ভাবে চাষ হয়ে থাকে গমের। কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে বপন করা গম উঠছে, মাগফাগুন মাসে। সেচের জল অত্যধিক খরচ, সারেরও দাম বেড়েছে বেশ খানিকটা সে কারণে বাজারে দাম থাকলেও লাভের মুখ খুব একটা দেখতে পান না তারা, তবে পাট চাষের পর গম বপন করা কৃষিকাজের সুবিধা। ফলনও খারাপ হয়নি এবছর। তবে বীজের মধ্যে ছত্রাক ঘটিত সংক্রমনের ভয়, পিছু তাড়া করে বেড়ায় তাদের । তাই গম চাষ থেকে মুখ ঘুরিয়ে আছেন বেশিরভাগ কৃষকই। এ ব্যাপারে অবশ্য সরকারি তত্ত্বাবধান খুব একটা বেশি চোখে পড়ে না। অথচ গমের তৈরি রুটি, পাউরুটি উত্তরোত্তর চাহিদা বেড়েই চলেছে!