বৈশাখ পড়লেই আম জাম লিচুর সমাহারে বাংলার বাজারে খুশির জোয়ার নেমে আসে। গত বছরেও ছিলঝ লকডাউন, ফল রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না থাকলেও বহিরাগত পাইকারি ক্রেতারা খুব একটা এসে পৌঁছাতেন না বাগানে, ফলে চাষিরা লাভের মুখ না দেখলেও সাধারণ আমজনতা আম লিচুর মোটো গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল খেয়েছেন তৃপ্তি করেই। এ বছরেও অজানা নানান রোগে লিচুর ফলন কমেছে! বিভিন্ন দামি দামি কীটনাশক ঔষধ বার পাঁচেক স্প্রে করেও লিচুর মুকুল থেকে লিচু ধরাতে পারেননি কৃষকরা। তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বি ফল হচ্ছে ইদানিংয়ের নিত্যনতুন রোগের আক্রমণে। নদীয়া জেলার শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চল এমনই একটি লিচুবাগানে খোঁজ নিয়েছিলাম আমরা। বাগান মালিক অনন্ত হালদার দীর্ঘ নয় বছর ধরে লিচুর চাষ করে আসছেন, বোম্বাই, আতাবোম্বাই ,আঁটি সব মিলিয়ে প্রায় 80 টি গাছ ! গত বছরে প্রায় তিন লাখ লিচু ফলেছিলো। এবছর 30 -40 হাজার হতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি। প্রতি হাজার লিচু বারোশো টাকা বাজারদর ঠিকঠাক থাকলেও কমফলনের কারণে, প্রায় 15 জন শ্রমিকের খাওয়া-দাওয়া, প্রতিদিন 300 টাকা মজুরি দিয়ে লাভ কিছু দেখতে পাবেন না বলি আশঙ্কা করছেন তিনি। অনন্ত হালদারের স্ত্রী আরতী হালদার জানান, মুকুল থেকে নিচু হওয়ার পর থেকেই বাগানে নিজের পরিবারের 5 জন সদস্য সহ 15 জন শ্রমিকদের রান্না করতে হয় বাগানের কাজের ফাঁকে ফাঁকেই। গতবার প্রায় 45 জন শ্রমিক কাজ করতেন, তার সাথে আত্মীয়-পরিজনদের বাগান দেখতে আসা অতিথিদের দুবেলা খাবার ব্যবস্থা করতে প্রায় সারাদিনই কেটে যেতো। তবে গত দু’বছর ধরে তারা আসতে পারছেনা তাই একটু মন খারাপ।