মরণোত্তর চক্ষুদানে কর্নীয়া সংগ্রহের কাজ অব্যাহত

🙏মরণোত্তর চক্ষুদানে কর্নীয়া সংগ্রহের কাজ অব্যাহত 🙏
“সদ্য মৃত বাবার মরণোত্তর চক্ষুদান করলেন তমলুকের হরশঙ্কর গ্রামের সামন্ত পরিবার”
আজ সকালে বাড়ি থেকে রামতারকহাটে পান বিক্রিয় করতে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোন রকম চিকিৎসার সুযোগ না দিয়েই রাস্তায় মারা যান হরশঙ্কর গ্রামের (তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর)হরিপদ সামন্ত বাবু। বয়স ৭১ বছর।
হরিপদ বাবুর মৃত্যুর সংবাদ টি ওনার প্রতিবেশী শঙ্কর মাইতি আমাকে ফোন করে জানান। আমি দ্রুত আমার যহযোগী সাথী অশোক কুমার পাইক কে সাথে নিয়ে মৃতের পরিবারে পৌঁছই।আমাদের সাথে মৃতের পরিবারের সদস্যদের মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য রাজি করতে সহযোগিতা করেন হরিপদ বাবুর জ্ঞাতীভাই সমরেশ সামন্ত।হরিপদ সামন্ত বাবুর একমাত্র পুত্র পিন্টু সামন্ত ও পরিবারের সদস্যরা হরিপদ বাবুর মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য রাজি হন এবং বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নেত্র নিরাময় নিকেতন(চৈতন্যপুর, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর)আই ব্যাঙ্কের টিম এসে কর্নীয়া দুটি সংগ্রহ করেন।
হরিপদ সামন্ত বাবুর আত্মার শান্তি কামনা করি, পুত্র পিন্টু সামন্ত সহ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই শঙ্কর মাইতি, সমরেশ সামন্ত সহ আই ব্যাঙ্কের পবিত্র মাইতি দাদাকে।
শঙ্কর মাইতি দাদার মত অশোক কুমার পাইক, সৌমেন গায়েন, ডাক্তার বাসুদেব আদক, রবীন্দ্রনাথ কর, মনিশংকর মাজী দাদাদের সহযোগিতায় মরণোত্তর চক্ষুদানের কাজ এগিয়ে চলুক ও কর্নীয়া জনিত কারনে অন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষ পুনরায় দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাক এই কামনা করি। 🙏
–বিনম্র আবেদন # হঠাৎই কারোর মৃত্যুর খবর পেয়েই মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য ফোন করবেন। আপনার দেওয়া খবরে দুজন মানুষ পুনরায় দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে পারেন।
–ছবি ঋণ-: সৌভিক সামন্ত (আমার বড় পুত্র)।
🙏নমস্কারান্তে :- প্রশান্ত সামন্ত :: বাহারপোতা, পাঁশকুড়া, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর। ৯৭৩২৭৪৮৭৮৫/৭৯০৮৩১০০৮৪